আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,১০এপ্রিল,এইচ আর খান,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায় আগাম বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে সহস্রাধিক কৃষকের বোরো ধান ও মৌসুমী সবজি। এতে কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছে। সচেতন মহল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা তৈরি করে ক্ষতি পূরণের দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।
বড়লেখা উপজেলার বর্ণি, তালিমপুর,দাসেরবাজার, সুজানগর, বড়লেখা সদর, নিজ বাহাদুরপুর, দক্ষিণশাহবাজপুর, উত্তর শাহবাজপুর, দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ও দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায় এসব এলাকার প্রায় তিন হাজারেরও অধিক বোরো ধান রয়েছে। হাওর ও হাওর পারের বোরো ধান এবং সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষকদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, এবার আগাম বন্যায় পূর্বের যেকোন সময়ের বন্যায় এবারের মতো এতো ক্ষতি হয়নি যা এ বছরের বন্যায় হয়েছে। অন্যান্য বছর বন্যা হলেও বন্যার সময় ধান ছিলো আধা পাকা বা পাকা।
বন্যার পানিতে ধান তলিয়ে গেলেও পানি চলে যাওয়ার সাথে সাথে পাকা ধান কাটা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু এবার বন্যা আগাম হওয়ায় ধানের ফুল আসার সঙ্গে সঙ্গে পানিতে তলিয়ে যায়। এতে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কৃষক পরিবারের কান্না আর মাথায় হাত দেয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। কৃষকরা জানিয়েছেন, গরু,ছাগল,মহিষ বিক্রি করে ও কেউ কেউ ধার টাকা এনে আবার কেউ কেউ ধানের বিনিময়ে টাকা এনে ধান ক্ষেতে লাগিয়েছেন।
কিন্তু অনাকাংঙ্খিত ভাবে বৈশাখ আসার পূর্বেই বৈশাখী ঝড় ও বন্যার পানিতে বুরো ধান ও সবজি ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা সর্বসহ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে উঠেছে। এদিকে মৌসুমী সবজি চাষীরা ধান ক্ষেত থেকে অর্জিত আয় দিয়েই পুরো বছর চলে। বন্যায় ধান ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চাষীদের চোখের পানিই একমাত্র সম্বল এখন।
এছাড়া উজান এলাকার কৃষকরা বলেন, ষাটমাছড়া, নিখড়িছড়া,মাধবছড়া ও ধলছড়ি দীর্ঘ্যদিন থেকে খনন না করায় ভরাট হওয়ায় ও পরিকল্পিত বাধঁ না থাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের অব্যাবস্থাপনা ও অবহেলার ফলে এ অঞ্চলের ঘরবাড়িতে বছরে দুই তিন দফা পানি উঠে যায়।
এবার আগাম বৃষ্টির ফলে ও পাহাড়ি ঢলের পানি আসায় বোরো ধান, সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে মারাত্মক ক্ষতি এবং দুর্ভোগে পড়ে এলাকার কৃষকরা। এব্যাপারে কার্যকরী প্রদক্ষেপ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কৃষকরা।