ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাবলীগ পন্থীদের সংবাদ সম্মেলনঃসুন্নিদের নিহত ১

    0
    275

    আমারসিলেট24ডটকম,১০মার্চঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের নাজিরাবাড়ি মসজিদে হামলা চালিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষকসহ ৩০ জন আহতের প্রতিবাদে হামলাকারীদের  অবিলম্বে গ্রেফতার ও দ্রুত বিচার আইনে বিচার দাবী জানিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শীর্ষ  ইলিয়াছি তাবলীগ পন্থী উলামাগন। পাশাপাশি বিজয়নগর উপজেলার চাউরা গ্রামের সুন্নি মতাবলম্বীদের নেতা নাঈমুদ্দিন আল ক্বাদরীকে সকল ঘটনার উস্কানীদাতা হিসেবে চিহ্নিত করে তাকে গ্রেফতার করার দাবী জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে ঘটনার বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন মাওলানা আশেকে এলাহী ইব্রাহীমী, মুফতি মোবারক উল্লাহ, মাওলানা সাজেদুর রহমান, মাওলানা রহমতুল্লাহ, মাওলানা বেলায়েতুল্লাহ, মুফতি আবদুল হক, মাওলানা আবদুল হাফিজ, মুফতি জাকারিয়া খান, হাফেজ খায়রুল ইসলাম, মুফতি এনামুল হাসান, হাফেজ এরশাদ উল্লাহ প্রমুখ।

    উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ৬মার্চ বিজয়নগর উপজেলার নাজিরা বাড়ি মসজিদে মাওলানা আবু বকরের নেতৃত্বে ত্রিশ সদস্যের ইলিয়াছি তাবলীগ জামাতের একটি গ্রুপ যায়।এলাকাবাসী মুসুল্লিরা ৬উসুলের ইলিয়াছি তাবলীগ জামাতকে পছন্দ করে না। তাই এলাকার লোকজন তাদের মসজিদ ছাড়তে অনুরোধ করলে তাবলীগ পন্থীরা জোর করে মসজিদে থাকার চেষ্টা করলে সন্ধ্যায় মসজিদে ঢুকে ওই এলাকার তাবলীগ জামায়াতের বিরোধী পক্ষ তাদেরকে  জোর করে মসজিদ থেকে বাহির করার এক পর্জায়ে দু’পক্ষের মধ্যে  পাল্টাপাল্টি মারধর হয়। পরের দিন শুক্রবার তাবলীগ পন্থীরা  আগেই বিজয়নগর থানায় মামলা করলে পুলিশ এই মামলার ১৬৬ আসামীর মধ্যে ১৭ জনকে গ্রেফতার করে। এলাকা বাসির সুত্রে আরও জানা যায়, রবিবার দিবাগত রাত প্রায় সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশের সাথে তাবলীগ পন্থীরাও ঐ এলাকাতে আসামী ধরতে যায়।তখন নিজ ঘরে ঘুমিয়ে থাকা সুন্নি পন্থী  মুরুব্বি হাসান আলী সর্দার (৬৫) কে তারা খুন করে। সুন্নি পন্থীদের অভিযোগ পুলিশের সাথে আসা তাবলীগ পন্থীরাই রাতের আধারে সর্দারকে একা পেয়ে খুন করেছে।নিহত সুন্নি পন্থী হাসান আলী সর্দার (৬৫)  স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বলে একটি সুত্র থেকে জানা যায়।

    অপরদিকে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রসুল আহমেদ নিজামী জানান, পুলিশ আসামী ধরতে গেলে তিনি পালাতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জানান এ ঘটনায় পুলিশী তদন্ত চলছে।পুলিশের কোন দুর্বলতার প্রমাণ মিললে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হবে। এদিকে ঘটনার পর মোহাম্মদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে  হাজার হাজার লোক জড়ো হয়ে দুপুর প্রায় ১২টার দিকে মিছিল নিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চান্দুরায় এসে মহাসড়ক অবরোধ করে। দুপুর ২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশিরুল হক ভূঁইয়া, উপজেলা নেতৃবৃন্দ ঘটনাটি সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেয়।