ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কোনো ছাত্র-শিক্ষক ধ্বংসাত্মক কাজে জড়িত নয়!

    0
    239

     দাবী ইউনুছিয়া কওমি মাদ্রাসার মুহতামিম  মোবারক উল্লাহ’র 

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৫জানুয়ারীঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া কওমি মাদ্রাসার  মুহতামিম মোবারক উল্লাহ বলেছেন, পরিকল্পিতভাবে তার ছাত্রদের ওপর হামলা হয়েছে। আর পুলিশ নির্যাতন করে হাফেজ মাসুদুর রহমানকে হত্যা করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।

    শুক্রবার সকালে মুহতামিম মাওলানা মোবারক উল্লাহ এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন।

    মোবারক উল্লাহ বলেন, গত সোমবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট ছায়েদুল হকের নির্দেশে জেলার নাসির নগরের ধনপুরা এলাকার একটি মসজিদ ও মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়া হয়। এর প্রতিবাদে ওই দিন দুপুরে কওমি ছাত্র ঐক্য পরিষদ শহরে মিছিল-সমাবেশ করে। মিছিল-সমাবেশ করাকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যায় পরিকল্পিতভাবে জেলা পরিষদ মার্কেট এলাকায় মাদ্রাসা ছাত্রদের ওপর হামলা চালানো হয়।

    মোবারক উল্লাহ আরো বলেন, গণমাধ্যমে প্রচারিত মোবাইল কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা সত্য নয়। তার দাবি, সোমবার রাত ১১টার পর মাদ্রাসায় ঢুকে পুলিশ নির্যাতন করে। সেই নির্যাতনের কারণেই মঙ্গলবার ভোরে হাফেজ মাসুদুর নিহত হয়েছেন।

    সংবাদ সম্মেলনে মোবারক উল্লাহ হাফেজ মাসুদুর হত্যার নিন্দা জানান। একই সঙ্গে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান।

    সংবাদ সম্মেলনে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ছাত্র নিহতের পর মঙ্গলবার শহরের বিভিন্ন স্থাপনায় ভাংচুরের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়। তবে মাদ্রাসার কোনো ছাত্র-শিক্ষক ধ্বংসাত্মক কাজে জড়িত নয় বলে  দাবী করেছেন তিনি।

    অপরদিকে,  শহরের বিভিন্ন স্থাপনা ও  দোকানপাটে হামলা-ভাঙচুর করে সরকারী বেসরকারি সম্পদ নষ্টের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় পৃথক পৃথক ১০টি ও আখাউড়ায় রেলওয়ে থানায় একটিসহ ১১টি মামলা করা হয়েছে। একটি মামলায় জেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৪৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত প্রায় আট হাজার লোককে আসামি করা হয়েছে।