আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৬মার্চ,রেজওয়ান করিম সাব্বির: সীমান্তবর্তী উপজেলা জৈন্তাপুরে এবার ব্যক্তি উদ্যোগে নির্মাণ করা হল ১কিলোমিটার রাস্তা সহ কালভার্ট। একটি কালভার্ট ও রাস্তার জন্য যাতায়াত করতে পারছিলনা ফুলবাড়ী গ্রামের বেশ কয়েকটি পরিবার। প্রবাসী ছেলের অনুদান প্রায় ১০লক্ষ টাকা ব্যয় করে ১কিলোমিটার রাস্তা সহ কালভার্ট নির্মাণ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- জৈন্তাপুর উপজেলার সদরের নিকটবর্তী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের একটি গ্রাম ফূলবাড়ী। নির্বাচন এলে উপজেলা সদরের ফুলবাড়ী গ্রামটির কথা সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও সদস্য-সদস্যারা কেউই ভূলে থাকতে পারেন না। তারা একের পর এক রঙ্গীন স্বপ্ন দেখিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও বিদ্যুতের আলোর পৌঁছে দেওয়ার কথা শুনান আর ক্ষমতায় বসে ভূলে যান আমাদের কথা।
এমপি, চেয়ারম্যানদের মিথ্যা আশ্বাস থেকে অবশেষে মুক্তি দিলে নিজ গ্রামের প্রবাসী ছেলে জজু মিয়া। ৩০বয়সে ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে স্বপ্নের সৌদি আরবে পাড়ি জমান ফুলবাড়ী গ্রামের সত্তার মিয়ার ছেলে জজু মিয়া(৫৫)। দির্ঘ দিন সৌদি মালিকের প্রতিষ্ঠানে কাজ করে বিশ্বস্ত হয়ে উঠেন।
এক পর্যায়ে সৌদি মালিক জজুকে নিজের পায়ে দাড়ানোর পরামর্শ দেয়। সৌদি মালিক পরামর্শ অনুযায়ি একটি দোকান কৌঠা ভাড়া নিয়ে ব্যবসা শুরু করে জজু। ভাড়ায় দোকান নিয়ে জজু মিয়া যাত্রা শুরু করে আর পিছনে ফিরে থাকাতে হয়নি। এক পর্যায়ে জজু মিয়া নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের সাথে সাথে আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ের জন্য তিনি মসজিদ নির্মানে সাহায্যে করেতে শুরু করেন। জজু মিয়া ইতি মধ্যে জৈন্তাপুর উপজেলার ফুলবাড়ী জামে মসজিদ, ঘিলাতৈল জামে মসজিদ, ডিবির হাওর জামে মসজিদ, টিপরাখলা জামে মসজিদ নির্মানের জন্য প্রচুর অর্থব্যয় করেছেন বলে এলাকাবাসী জানায়।
এছাড়া জজু মিয়া ১০লাখ টাকা ব্যয় ফুলবাড়ী গ্রামের ১কিলোমিটার রাস্তা সহ একটি কালভার্ট নির্মাণ করছে। তাছাড়া প্রায় ২০-২৫টি পরিবারকে ৩/৪ বান ঢেউটিন দিয়ে সাহায্যে করেছে বলে জানায় গ্রামবাসী। সৌদি আরবে জজু মিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ফুলবাড়ী গ্রামের ১০জন বাংলাদেশী কর্মরত আছে।
এব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা(যুদ্ধাহত) আব্দুল গফুর বলেন- আমাদের গ্রামটির রাস্তা ও মসজিদ নির্মানের জন্য ৫বারের সির্বাচিত এমপি, ২বারের নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহীর কাছে আবেদন নিবেদন করেও কোন প্রতিকার পাইনি। ভাগ্যচক্রে নিজ গ্রামের একটি ছেলে স্বপ্নের দেশ সৌদি আরব গিয়ে সৌদি মালিকের বিশ্বাস অর্জন করে সে দেশে ব্যবসা করে বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারায় নিজেকে ধন্য মনে করছি। সৎ ও মহৎ উদ্যোগের কাছে এম.পি, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানের কোন প্রয়োজন নাই।