বোনের প্রেমিককে গলা কেটে হত্যা দেহ ও মস্কক উদ্ধার

    0
    227

    কমলগঞ্জে নিখোঁজ ব্যবসায়ীর মস্ককবিহীন লাশ উদ্ধার

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৩সেপ্টেম্বর,জহিরুল ইসলামঃ নিখোঁজের তিন দিন পর মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মাধবপুর চা বাগানের শ্রমিক বলরাম নুনিয়ার (৫০) ছেলে পান ব্যবসায়ী সুমন নুনিয়া (২৪)র মস্কিকবিহীন লাশ উদ্ধারের ঘটনায় চা বাগান পঞ্চায়েতের পক্ষে থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।

    এ মামলায় সন্দেহমূলক আটক মিরতিংগা চা বাগানের চা শ্রমিক বদরী তন্ত বাই (৫০) ও তার ছেলে  কান্ত তন্ত বাই (২৪)-র ছেলে স্বীকারোক্তি ও পরে  ছেলে কান্ত তন্ত বাই পুলিশি ও জনপ্রতিনিধির উপস্থিতিতে কাটা মস্কিক উদ্ধার করে দিল ধানের জমির কাঁদার নিচ থেকে।

    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কমলগঞ্জ থানার এসআই ফরিদ উদ্দীন জানান, শুক্রবার মাধবপুর চা বাগান থেকে বের হয়ে পান ব্যবসায়ী সুমন নুনিয়া মিরতিংগা চা বাগানে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল। তিনদিন পর সোমবার এ চা বাগানের গুটিবাড়ি এলাকার একটি নালায় মস্কিকবিহিন একটি লাশ উদ্ধার হলে পরদিন মঙ্গলবার দেহের বিভিন্ন চিহ্ন দেখে পরিবারের লোকজন লাশটি সনাক্ত করেন। এরপর মঙ্গলবার মাধবপুর চা বাগানের প ায়েত সদস্য কানাই লাল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী দিয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সন্দেহমূলকভাবে মিরতিংগা চা বাগানের চা শ্রমিক বদরী তন্ত বাই(৫০) ও তার ছেলে  কান্ত তন্ত বাই(২৪)কে আটক করলে  জিজ্ঞাসাবাদে সুমন নুনিয়াকে হত্যার কথা তারা স্বীকার করে।

    এরপর মঙ্গলবার বিকালে আটক আসামী কান্ত তন্ত বাইকে নিয়ে পুলিশের একটি দল,মাধবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানুসহ জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতে কাটা মাথা উদ্ধার অভিযান চলে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হত্যাকারীর বাসার অদূরে মিরতিংগা চা বাগানের ৪ নং সেকশন প্লান্টেশন এলাকা’র ধানের জমির কাঁদার নিচ থেকে সুমন নুনিয়ার কাটা কাটা উদ্ধার এবং মাথা কাটায় ব্যবহৃত দা উদ্ধার করা হয়।

    তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ফরিদ উদ্দীন আরও বলেন, প্রাথমিক জ্ঞিাসাবাদে হত্যার কারণ সম্পর্কে কান্ত তন্ত বাই পুলিশকে জানিয়েছে তার বোনের সাথে মাধবপুর চা বাগানের পান ব্যবসায়ী সুমন নুনিয়ার প্রেমের কারনে এক পর্যায়ে উভয় অবৈধভাবে মেলামেশা করতো। তা দেখেই প্রায় দুই মাস আগ থেকে প্রতিশোধ হিসাবে হত্যার পরিকল্পনা করে কান্ত তন্ত বাই। শুক্রবার তাকে ফোন করে ডেকে এনে অতিরিক্ত মদ পান করিয়ে পরে একাই সুমনকে জবাই করে মস্কক ধানের জমিতে পুতে রেখে লাশটি ড্রেনে ফেলে রাখে।

    মাধবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পুষ্প কুমারকানু সন্দেহমূলক ধৃত আসামীই হত্যার কথা স্বীকার করে মঙ্গলবার তাঁদের (পুষ্প কুমার কানুর) সামনেই কাটা মস্কক বের করে দিয়েছে বলে জানান।

    কমলগঞ্জ থানার ওসি মো: বদরুল হাসান মাধবপুর চা বাগানের পান ব্যবসায়ী সুমন নুনিয়ার কাটা মস্তক উদ্ধার ও থানায় মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন। আটক আসামীদের এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে। তিনি আরও বলেন, এখন আদালতে আনুষ্ঠানিকতা শেষে আসামীদের রিমান্ডের আবেদন করা হবে।