বৈশাখী টেলিভিশন জেলা প্রতিনিধির পরিবারের নিকট চাঁদা দাবি

    0
    232

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২১মে,সুজয় কুমার বকসীঃ বৈশাখী টেলিভিশন নড়াইল জেলা প্রতিনিধি মিরাজ খানের পরিবারের কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে সন্ত্রাসীরা । দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় স্থানীয় সন্ত্রাসী রুস্তম পালোয়ান ও তার লোকজন লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া গ্রামে তার বাড়ির মূল্যবান গাছ কেটে ফেলেছে। এ ঘটনায় লোহাগড়া থানায় একটি মামলা হয়েছে।

      মামলায় অভিযোগে জানা গেছে, বৈশাখী টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মিরাজ খানের ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন সম্প্রতি সিঙ্গাপুর বাড়ী এসেছে। এরপর থেকে একই গ্রামের জুয়াড়ি ও সন্ত্রাসী রুস্তম পালোয়ান মিরাজ খানের মা রোকেয়া বেগমের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছে । সর্বশেষ গত  ১৫মে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে রোকেয়া বেগমের কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং ২৪ ঘন্টা সময় বেঁধে দেয়। টাকা না দেয়ায় গত ১৭ মে প্রকাশ্য দুপুরে তাদের ৩টি মূল্যবান  গাছ কেটে ফেলে।

    উল্লেখ্য, রোস্তম ও তার লোকজন গত ৪ মাস ধরে সাংবাদিক মিরাজ খানের গ্রামের বাড়ি আম বাগানের মধ্যে দিনে ও রাতে জুয়ার আসর বসায়। সাংবাদিক মিরাজ নড়াইল শহরে থাকায় রুস্তম ও তার লোকজন তার বৃদ্ধ বাবা গোলাম মোস্তফা খান ও মাকে এ ঘটনা কাউকে জানাতে নিষেধ করে ।

    লাহুড়িয়া গ্রামের রুস্তম ও তার ক্যাডাররা এলাকায় বিভিন্ন  সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, চাঁদাবাজি ও জুয়া  খেলার সাথে জড়িত বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। এসব কাজে সহযোগিতা করে থাকে রুস্তমের স্ত্রী লাইজু বেগম।

    রুস্তমের আপন বোন রেবেকা সুলতানা (৩৭) এ প্রতিনিধিকে জানান, তার ভাই রুস্তম ও ভাবী লাইজু জুয়া খেলা, নিরীহ ব্যক্তিকে মিথ্যা মামলায় হেনস্তাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত।

     লাহুড়িয়া গ্রামের খলিলুর রহমান (৫২) ও হাসমত (৪৫) একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ করে বলেন, রুস্তম ও তার ভাই মোস্ত মোল্যা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় জুয়ার আসর বসিয়ে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে। তারা এলাকার একটি প্রভাবশালী মহলের মদদে চাঁদাবাজিসহ নানা সন্ত্রাসী কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

    একই গ্রামের পুলিশ কনস্টেবল(অব) গোলাম রহমান অভিযোগে জানান, দু’বছর আগে রুস্তম ও স্ত্রী লাইজু হামলা চালিয়ে তার হাত ভেঙে দেয়।

    এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রুস্তমের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার স্ত্রী লাইজু বেগম সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি এবং বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।

    লোহাগড়া উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু বলেন, বিষয়টি প্রথম শুনলাম। এ সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

     নড়াইলের পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।