বেনাপোল পোর্ট থানা মগের মুলুকে পরিনত!

    0
    190
    চোরাচালান কমে যাওয়াই পুলিশের খায় খায় ভাব

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৩নভেম্বর,এম ওসমান, বেনাপোল : বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের কতিপয় সদস্য স্থানীয় টাউট-বাটপারদের সাথে আতাতের মাধ্যমে সাধারন মানুষকে জিম্মি করে শান্তি প্রীয় এলাকাটিকে মগের মুলুকে পরিনত করেছে। নিরীহ সাধারন মানুষ পুলিশ ও বাটপারদের খপ্পরে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। পুলিশি হয়রানির ভয়ে মানুষ বাড়িতে রাত্রীবাস না করে আগান-বাগানের গাছের নিচে ঘুমাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

    দারোগা শরিফ হাবিব দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোল পোর্ট থানায় চাকুরীরত থাকার সুবাদে এলাকায় তার ব্যাপক পরিচিত হয়েছে। সকল চিহ্নিত অপরাধী, মাদক ব্যবসায়ী ও টাউট বাটপারদের সাথে গড়ে উঠেছে সখ্যতা। আর এ সখ্যতার সুযোগে টাউট বাটপারদেরকে ব্যবহার করে নিরীহ সাধারন জনগনকে জিম্মি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

    ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পুটখালী গ্রামের কুখ্যাত চোরাকারবারী ও এলাকার ত্রাস রেজা বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের কিছু অসাধু সদস্যকে ব্যবহার করে নিরীহ মানুষদের জিম্মি করছে। এ সুযোগে দারোগা শরিফ হাবিব, মতিউর, তাজুল, নুর আলম, ফিরোজসহ কয়েকজন অসাধু পুলিশ সদস্য নিরীহ জনগনের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে স্টিম রোলার। এ রোলারের চাপ সইতে না পেরে ইতিমধ্যে এলাকা ছাড়া হয়েছে অনেকে। আবার অনেকে দিনের আলোতে পালিয়ে বেড়ালেও রাতে বাগান-বাদাড়ে গাছ তলায় কাটাচ্ছে।

    এ সকল পুলিশ সদস্য ও তাদের পোষ্য কুখ্যাত সন্ত্রাসী রেজা এলাকার সাধারন মানুষকে জিম্মি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।

    পুটখালী গ্রামের উত্তর পাড়ার নুর মোহাম্মদের পুত্র আনোয়ার হোসেন আনার অভিযোগ করে বলেন, গত ৯ অক্টোবর স্কুল মাঠ হতে বাড়িতে ফিরছিলাম। এ সময় দারোগা শরিফ হাবিব সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আমাকে আটক করে রেজার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে হাতে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে দুই ঘন্টা দাড় করিয়ে রাখে। এবং ২লাখ টাকা দাবি করে পুলিশ। পরবর্তীতে রেজা ২২ হাজার টাকার জামিন হলে পুলিশ আমাকে ছেড়ে দেয়। টাকাটি ২দিন পর রেজার কাছে দিতে হয়েছে।

    আব্দুৃল খালেকের ছেলে ইলিয়াছ হোসেন জানান, গত আগস্ট মাসের ১১ তারিখে দারোগা বিনা অভিযোগে পুটখালীর গরুর খাটাল হতে আটক করে দারোগা হাবিব। সেখান থেকে থানা হাজতে রাখে। বলে তোর নামে পেন্ডিং মামলা আছে। তুই রেজার সাথে যোগাযোগ কর। দুপুর ২টায় রেজার ভগ্নীপতি আসাদুল আমাকে থানা হতে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় ৭০হাজার টাকার চুৃক্তিতে। ২দিন পরে ধানের জমি বন্ধক দিয়ে রেজার হাতে টাকা দিতে হয়।

    একই গ্রামের মৃত আজগরের পুত্র সাইদুল ইসলাম জানান গত ৭আগস্ট দারোগা তাজুল আমাকে পেন্ডিং মামলার ভয় দেখায়। মামলা থেকে রেহায় পেতে হলে তাকে ৫০হাজার টাকা দিতে হবে। নইলে আমাকে আরো মামলায় ফাসানো হবে বলে ধমক দেয়। ১১হাজার টাকা দিয়ে সে যাত্র রক্ষা পায়।

    রওশন আলীর ছেলে সেলিম হোসেন জানান, দারোগা শরিফ হাবিব গত ৪মাস আগে আমাকে ফকিরের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে ধরে বিনা কারনে আমাকে মারধর করে। সেখান থেকে রেজার গরুর খাটালে নিয়ে যায়। ১লক্ষ টাকার দাবি করে পুলিশ। আমি দিতে রাজি না হয়ে বলি, আমি বিনা কারনে টাকা দিতে পারবো না। পরে রেজার ভাই বাবু নিজেই পুলিশকে ৫হাজার টাকা দিয়ে বিদায় করে। ১ঘন্টা পর বাবু আমার কাছ হতে ৫হাজার টাকা আদায় করে নেয়।

    এ ধরনের অসংখ্য অভিযোগ নিয়ে পুটখালীসহ এলাকার বিভিন্ন গ্রামের নিরীহ লোকজন বিভিন্ন মহলে ঘুরছে। এ এলাকার ভুক্তভোগী মানুষ অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা হাত হতে বাচতে চাই।