বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশনে পুলিশের সাথে সন্ত্রাসীদের গুলি বিমিময়:৫পুলিশ আহত

    0
    241

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১০মে,এম ওসমান: বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের উপর কুখ্যাত রাশেদ বাহিনী হামলা চালিয়েছে। এ সময় ইমিগ্রেশনের আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ভাংচুর করে। পুলিশ বাধা দিলে তাদের মারধর করে এবং পুলিশের উপর গুলি ছোড়ে। এতে ৫পুলিশ সদস্য আহত হয়। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার দুপুর দেড় টায়। আমদানি রপ্তানি বানিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। পার্শ¦বর্তী দেশের বিএসএফ সদস্যরা হাতে বন্দুক তুলে নেয় ফায়ারের জন্য।

    আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গুলি চালানোসহ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে শার্শা, বেনাপোল ও ঝিকরগাছা থানা পুলিশ বেনাপোল চেকপোষ্টে নেয়া হয়েছে। পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

    এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সন্ত্রাসী বাহীনি প্রধান রাশেদসহ ৭জনকে আটক করেছে। তাদেরকে ছাড়িয়ে নিতে শ্রমিক সংগঠনের নামে সন্ত্রাসীরা যশোর-বেনাপোল সড়ক অবরোধ করেছে।

    বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি (তদন্ত) মোমিন উদ্দিন জানান, গত ৮মে ঢাকার শেওড়া পাড়া এলাকার আসলামের স্ত্রী শাহিদা বেগম নামে এক মহিলা পাসপোর্ট ল্যাগেজ ব্যবসায়ী ভারত থেকে ফেরার সময় এ সময় চেকপোস্ট আইসিপি বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা তার ল্যাগেজের মালামাল অবৈধ হওয়ায় আটক করে কাস্টমস হাউসে জমা দেয়। তার কাছে অতিরিক্ত মালামাল থাকায় কাস্টম্স কর্মকর্তারা রাজস্ব দিয়ে মালামাল নিতে বলে। রোববার দুপুরে বেনাপোলের কুখ্যাত সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান ও পৌর কাওন্সিলর রাশেদ আলীসহ তার বাহিনীর সদস্যরা বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে যায়। সেখানে কাস্টম্স কর্মকর্তাদের সাথে সন্ত্রাসী রাশেদ বাজে ব্যবহার করলে পুলিশ এগিয়ে আসে। এ সময় রাশেদসহ তার বাহিনীর সদস্যরা পুলিশের উপর হামলা চালায়।

    এতে কনেস্টবল শাখাওয়াত, মেজবাসহ ৫পুলিশ সদস্য আহত হয়। ইমিগ্রেশনের আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ভাংচুর করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় পুলিশকে লক্ষ করে সন্ত্রাসী রাশেদ গুলি চালালে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি চালানোসহ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। রাশেদ বাহিনীর সদস্যরা ১৫/২০ বোমার বিস্ফোরন ঘটায়।

    এ সময় গুলবিদ্ধ হয় ৪ জন । ঘটনা স্থল থেকে সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধাণ রাশেদসহ ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত রাশেদ আলী বেনাপোল পৌর সভার কাউন্সিলর এবং বেনাপোল বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক।

    এরই মধ্যে বেনাপোল পোর্ট থানা, শার্শা থানা ও ঝিকরগাছা থানার সকল পুলিশ সদস্যরা এসে টিয়ারসেল ও গুলী চালায়। গুলিবিদ্ধ হয় ৪জন। মুহুর্তের মধ্যে সন্ত্রাসীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে আহতবস্থায় আটক করে বাহিনী প্রধাণ রাশেদ আলী(৩৫) ও তার সহযোগী ইদ্রিস আলী (৩৪) কে।

    এ সময় সন্ত্রাসী বাহিনী ডেকে আনার অপরাধে ল্যাগেজ ব্যবসায়ী নারী শাহিদা বেগম(৩২), তার স্বামী আসলাম হোসেন, বেনাপোলের গয়ড়া গ্রামের আমির হোসেন, তালসারি এলাকার আনসার ড্রাইভারের ছেলে গাজী, সাদিপুর গ্রামের মোস্তফার ছেলে রাসেল(২৩) ও বড় আঁচড়া গ্রামের রহিমের ছেলে মনিরকে আটক করে পুলিশ।

    যশোরের এএসপি সার্কেল (ক) ভাস্কর সাহা ঘটনা স্থল পরিদর্শণ কালে বলেন, সন্ত্রাসী কর্তৃক পুলিশকে পিটিয়ে আহতের ঘটনা শুনে বেনাপোলে আসি। ঘটনা স্থল থেকে সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধাণ রাশেদসহ ৭জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটা পুলিশের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পরে মামলা করা হবে।

    উলেখ্য, এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হতে দেখা গেছে। রাশেদকে যশোরে নেওয়ার পথিমধ্যে বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটনের পৌষ্য অন্যান্য সন্ত্রাসীরা পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে পারে বলে একাধীক সুত্রে জানায়।