বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশনে চলছে হয়রানী মহোৎসব

    0
    261

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৬মার্চ,এম ওসমান বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন ভবনে চলছে যাত্রী হয়রানীর মহোৎসব । কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন পুলিশ সদস্যদের কাছে হয়রানির স্বীকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। গত কয়েকদিন যাবত বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে নিজেরাই পাসপোর্ট যাত্রীদের কাছ থেকে নানা অজুহাতে আদায় করছেন শতশত টাকা বলে অভিযোগ উঠেছে।

    জানা যায়, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় এ পথে প্রতিদিন সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার হাজার পাসপোর্ট যাত্রী ব্যবসা, চিকিৎসা ও ভ্রমনের কাজে যাতায়াত করে। কিন্তু এ পথে ভ্রমনে তাদের হয়রানির শেষ নেই।

    চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ভবনে ভ্রমন ট্যাক্স কাটতে সোনালী ব্যাংকে ৫শ’ টাকার রশিদ নিতে বাড়তি ঘুষ দিতে হয় ১০ টাকা। কাস্টমস পার হতে বকশিষের নামে পাসপোর্ট প্রতি ৫০ টাকা আদায় করে কাস্টমস সিপাই সদস্যরা। পরবর্তীতে ইমিগ্রেশনে প্রাইভেট সার্ভিস পাসপোর্টে ছিল করতে ২শ’ থেকে ৫শ’ টাকা, ট্যুরিষ্ট ও মেডিকেল ভিসার যাত্রীদের ৫০ থেকে ১শ’ টাকা হারে আদায় করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। এছাড়াও এসআই রবিউলের কাছে গেলে পাসাপোর্ট সীল মারতে তার থাকে অনেক তালবাহানা। তিনি পাসপোর্ট প্রতি ২’শ থেকে ২হাজার টাকাও আদায় করার অভিযোগ রয়েছে।

    পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় কাজ শেষে পরিবারের জন্য সামান্য কেনাকাটা করে দেশে ফেরার সময় আবারো বেনাপোল চেকপোস্টে কাস্টমস সদস্যরা যাত্রীদের কাছ থেকে মাথা পিছু ২’শ টাকা থেকে শুরু করে ৫’শ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে। এসময় কেউ এই অবৈধ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে বিভিন্ন অযুহাতে তাদের ঘন্টার পর ঘন্টা দাড় করিয়ে রাখা হয়। এদের হাত থেকে রোগী, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী কেউই রেহায় পায়না বলে ভুক্তভোগী পাসপোর্ট যাত্রীরা জানান ।

    অভিযোগ রয়েছে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নিজস্ব কিছু বহিরাগত দালাল কর্তৃক ট্রাক্স ফাঁকির ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। এরা সহজ সরল যাত্রীদের কাছ থেকে ভ্রমণ করের ৫’শ টাকা নিয়ে তা সরকারের কোষাগারে না দিয়ে গেট পার করে দিচ্ছে। এতে করে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

    এদিকে বহিরাগত পাসপোর্ট দালালসহ স্থানীয়দের ইমিগ্রেশন ভবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় ফুসলে উঠেছেন এখানে কর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করা স্থানীয়রা। তাদের দাবি আমাদের ঢুকতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তাদের তাদের নিয়োগকৃত ৮জন বহিরাগত দালাল দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রীদের নাজেহাল করছে কাস্টমস ও পুলিশ সদস্যরা। এই ৮ দালাল যেভাবে বলছে সেভাবেই চলছে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের কতিপয় সদস্য। এ জন্য যেকোন সময়ে এখানে রক্তক্ষয়ী সংঘাত বাঁধতে পারে বলে জানায় সংশ্লিষ্ঠরা।

    এ বিষয়ে ইমিগ্রেশন ওসি(তদন্ত) মনিরুজ্জামান বলেন, ভিতরে থাকা এরা দালাল না। এরা আমাদের সহযোগী হিসাবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। তাদেরকে আমরা প্রয়োজনে ভারতেসহ দেশের অভ্যন্তরে পাঠাই। তবে তাদেরকে কোন বেতন দেওয়া হয় কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের বেতন তারা পাসপোর্ট যাত্রীদের কাছ থেকে তৈরি করে নেয়। এ জন্য এদেরকে বাড়তি বেতন দেওয়ার প্রয়োজন হয়না।