বেনাপোলে ৯ম শ্রেনীর ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ 

    0
    228
    বেনাপোল প্রতিনিধি: বেনাপোল পোর্ট থানার ছোটআঁচড়া গ্রামে ৯ম শ্রেনীর এক ছাত্রকে বলাৎকার করেছে তার গৃহ কোরআন শিক্ষক আপেল উদ্দিন (৫০) নামে এক লম্পট।
    মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সকালে শিক্ষকের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।লালসার শিকার ছাত্রের বাড়ি বেনাপোল ছোট আঁচড়া গ্রামে।
    ঘটনার শিকার ছাত্র জানায়, সোমবার (২২ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার সময় হুজুরের বাড়ির সামনে গেলে তিনি আমাকে ডাক দেন। কিন্তু আমি তখন তাকে বলি সকালে দেখা করবো। পরের দিন মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সকালে হুজুরের বাড়ির সামনে দিয়ে হেঁটে আসার সময় আমি দেখি হুজুর উঠান ঝাড়ু দিচ্ছেন। তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করি কাল রাতে কেন ডাকছিলেন। তখন তিনি আমাকে তার বাড়ির ভিতরে তার ঘরে নিয়ে যেয়ে বলে বাড়ি কেউ ছিল না, একা থাকবো তাই তোমাকে ডাকছিলাম। তখন হুজুরকে ঘরের দরজা বন্ধ করতে দেখে, আমি তাকে বলি দরজা বন্ধ করছেন কেন। আমি স্কুলে যাব। তখন হুজুর আমাকে বলে স্কুলে পরে যেও, বলেই দরজা বন্ধ করে আমাকে ঝাপটে ধরে খারাপ কাজ করে। তখন আমি চিৎকার করলে এলাকার লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করেন।
    ছাত্রের দাদা বলেন, কোরআন শিক্ষক আপেল তার বাড়িতে সকাল বেলা তার পোতাছেলেকে ডেকে নিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে বলাৎকার করে। এসময় সে চিৎকার দিলে তার গলা টিপে ধরে। পরে আশে পাশের লোকজন তার চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে আপেল উদ্দিনকে মারধর করে। এ ঘটনায় স্থানীয় মাতুব্বাররা তার বিচার করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
    বেনাপোল পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন জানান, আমি লোক মুখে শুনেছি ওই হুজুর একজন খারাপ চরিত্রের লোক। তাই স্থানীয় ভাবে তার বিচার না হয়ে, আইনের মাধ্যমেই হওয়া উচিত।
    এ ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে আপেলের বাড়ি গেলে তার বাড়ি তালা বদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। এসময় এলাকার একাধিক লোকজন অভিযোগ করেন, এর আগেও সে খারাপ কাজ করেছে। তার এধরনের আচারনে তার নিজের মেয়ে গলায় রসি দিয়ে আত্নহত্যা করেছে। এর আগে আপেলের বাড়ি ছিল বেনাপোল পোর্ট থানাধীন সাদিপুর খেয়াঘাট পাড়া গ্রামে।
    বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই পিন্টু লাল বলেন, এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে তেমন কোন অভিযোগ আমরা পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া এধরনের স্পর্শ কাতর ঘটনা যাচাই-বাছাই করার জন্য থানা থেকে ছোট আঁচড়া গ্রামে পুলিশ পাঠানো হবে।