বিয়ের প্রলোভনে শ্রীমঙ্গল আবাসিক হোটেলে ধর্ষণের অভিযোগ

    0
    381

    “হোটেল রেজিস্টারে তার কোন দস্তখত নেওয়া হয়নি সিসিটিভি দেখলেই সব পাওয়া যাবে দাবী ভিকটিমের” 

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শ্রীমঙ্গল উপজেলা শহরের চৌমুহনার সন্নিকটে মৌলভীবাজার রোডস্থ আবাসিক হোটেল ইসাকি ইমুসে দু’দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ করেছে মহাজেরাবাদ এলাকার রাধানগরের হাসান ট্রেইলারের মালিক মোঃ হাসান মিয়া নামের প্রেমিকের সাথে বিয়ের আশ্বাসে গাজীপুর থেকে আসা খুলনার বিশোর্ধ এক নারী জেমি (ছদ্মনাম)।

    খুলনা জেলার লবণচোরা জিন্নাপাড়া এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ওই নারী (ছদ্মনাম জেমি) গাজীপুরে থাকতেন। উপজেলার দিল্বরনগর গ্রামে বসবাস কারী ও রাধানগর এলাকায় দর্জির দোকানদার প্রেমিক হাসানের বিয়ের আশ্বাসে “শ্রীমঙ্গলে শহরের মৌলভীবাজার রোডস্থ আবাসিক হোটেল ইসাকি ইমুসে নিয়ে এখানে কয়েকদিন থাকার কথা বলে প্রেমিক হাসান।এ সময় হোটেল রেজিস্টারে নাম উঠানো লাগবেনা বলে হোটেলে কর্মরত এক মহিলা কর্মী জানান বলে ভিকটিম জেমি (ছদ্মনাম) এ প্রতিনিধিকে জানান। জেমি আরও জানান, দু দিনে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ বার থাকে অনৈতিক কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছে। একপর্যায়ে অন্য পুরুষের হাতে তুলে দিতে চেষ্টা করলে আমি আপত্তি জানাই পরে আমাকে একা রেখে হোটেল থেকে পালিয়ে যায় হাসান।তাকে খুঁজে না পেয়ে তার এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের কাছে অভিযোগ করলে কয়েকজন আমাকে থানায় নিয়ে আসে এবং এক পর্যায়ে থানায় আমাকে রেখে ওরাও চলে যায়।”

    তিনি এ প্রতিনিধিকে আরও বলেন, “নিরুপায় হয়ে হাসানকে খুঁজতে অটোরিকশা নিয়ে আবারও তার দোকানে (হাসান ট্রেইলারস) যাওয়ার সময় শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ রোডের রাবার বাগানের পাশে আমাকে আটকিয়ে মার পিঠ করে নির্যাতন করে গুরুতর আহত করে প্রায় ১৬ হাজার টাকা,মোবাইল,ভ্যানিটি ব্যাগ,কাপর চোপর সব নিয়ে যায়। পরে আহতাবস্থায় পথচারীদের সহযোগিতায় শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ভর্তি হয়ে চিকিৎসারত ছিলাম। আজ রোববার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে সশরীরে এসে শ্রীমঙ্গল থানায় অভিযোগ দ্বায়ের করেন ধর্ষিত নারী জেমি (ছদ্মনাম)। কথা বলার সময় জেমি বারবার সিসিটিভি চেক করে তার বিচারের ব্যবস্থা করার জন্য কাঁদতে থাকেন এবং বলতে থাকে হোটেল রেজিস্টারে তার কোন দস্তখত নেওয়া হয়নি সিসিটিভি দেখলেই সব পাওয়া যাবে, সিসিটিভি কেউ দেখতে চাইনা” বলে বারবার অভিযোগ করেন।

    পরে হাসপাতাল থেকে থানায় এসে ওই নারী বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ, নির্যাতন, টাকা-পয়সা (প্রায় ১৬ হাজার টাকা ) ও এন্ডড্রইয়েট মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেন।

    অভিযোগের ভিত্তিতে শ্রীমঙ্গল থানার কর্মকর্তা ওসি আব্দুস ছালিকের নির্দেশক্রমে এস আই তিতংকর দাস পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় আহত নারীকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন।

    এ ব্যাপারে মামলার আইও তিতংকর দাসের সাথে কথা হলে তিনি বলেন “আমরা মেয়েটিকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছি।”

    ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ওসি আব্দুস ছালিক দুলাল বলেন, “মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পুলিশি প্রহরায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এই দিকে  হাসান মিয়া পিতা অজ্ঞাত যার নামে অভিযোগ করেছে আমরা তার রাধানগরস্থ হাসান ট্রেইলার্সে অভিযান পরিচালনা করেছি সেটি বন্ধ, সে পলাতক রয়েছে, জানতে পারি তিনি এখানকার স্থায়ী বাসিন্দা না সম্ভবত কসবা এলাকার বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি এক প্রশ্নের উত্তরে আরও বলেন, রুমে তো সিসিটিভি নেই,হোটেলের সিসিটিভিও দেখা হবে এবং  হাসানকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।” আরও বিস্তারিত জানতে পরের সংবাদে খেয়াল রাখুন।