বিয়ানীবাজারে সরকারী রাস্তার গাছ কর্তনঃপ্রশাসকের নিকট

    0
    147

    চারখাইয়ে সরকারীরাস্তার গাছ কর্তন করে গেইট নির্মাণের অভিযোগ

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০২মার্চঃ  বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাই ইউনিয়নের আদিনাবাদ ইসবখানী গ্রামের সরকারী রাস্তার গাছ কেটে ফেলে জোরপূর্বক গেইট নির্মাণের পায়তারা করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। গাছ ও রাস্তা কর্তনকারী আদিনাবাদ ইসবখানী  গ্রামের মৃত আনসার আলীর পুত্র জামাল আহমদ গংদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিয়ানীবাজার থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশের পরও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পুলিশ। ফলে শত শত মানুষের চলাচলের এ রাস্তাটিতে জোরপূর্বক গেইট নির্মাণ করে প্রতিবদ্ধকতার চেষ্টা করছে ঐ চক্র।
    আদিনাবাদ ইসবখানী গ্রামের মৃত তজম্মুল আলীর পুত্র জামাল আহমদ সরকারী রাস্তার গাছ কর্তন ও গেইট নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিলেটের সাবেক জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীনের নিকট লিখিত অভিযোগ দেন। জেলা প্রশাসক বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি  সরেজমিন গিয়ে তদন্তের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেন। নির্দেশের প্রেক্ষিতে বিয়ানীবাজার উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী রজত কান্তি দাস সরেজমিন তদন্তে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান এবং এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে রিপোর্ট দেন।

    ঘটনার প্রমাণ পাওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিযুক্ত জামাল, নাজিম, মানিক মিয়া, মুক্তা মিয়া,  রফিক মিয়া, আবুল আহমদ, মুনিম আলী, সুহেল, বাবুল, মখলিছ মিয়া, বদরুল, নোমান, ছালাহ উদ্দিন, জাবেদ ও কফিল আহমদ গংদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জকে লিখিতভাবে নির্দেশ দেন। কিন্তু ওসি কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ করেছেন মৃত তজম্মুল আলীর পুত্র জামাল আহমদ। জামাল আহমদ বলেন, এটি একটি সরকারী রাস্তা। বিভিন্ন সময়ে সরকারী অনুদানে এ রাস্তার কাজ করা হয়েছে।

    এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত লোক যাতায়াত করেন। তারপরও এই রাস্তায় লাগানো গাছ কর্তন করে জোরপূর্বক গেইট নির্মাণের চেষ্টা করছে জামাল আহমদ গংরা। সরকারী নির্দেশনার পরও বিয়ানীবাজার থানার ওসি আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি। তবে এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য এসআই সাফিউলকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।