বিয়ানীবাজারে ছাত্রলীগ নেতা লিটু হত্যা মামলায় ৪ জন হাজতে

    0
    220

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৯জুলাই,হাবিবুর রহমান খানঃ সিলেটের বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে ছাত্রলীগ নেতা লিটু হত্যা মামলায় আটককৃত ৪ জনকে মঙ্গলবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। সোমবার রাতে কলেজ রোডের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বাইরের মালামাল রাখার চৌকির তলা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় রিভলবার (৩২) উদ্ধার করে পুলিশ। বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের শ্রেণি কক্ষে গুলিতে নিহত লিটুর ঘাতক অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    সোমবার রাতে কলেজ রোডের সবজি বিক্রেতার চৌকির তলা থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়। আটক তিন ছাত্রলীগ নেতাদের স্বীকারোক্তিতে অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে নয়াগ্রামের সাহেদের বাড়ি থেকে রাম দা এবং দেলোয়ার হোসেন মিষ্টু নামের অপর এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করে। এই নিয়ে এ ঘটনার সাথে যুক্ত চারজনকে পুলিশ আটক করেছে।

    ছাত্রলীগ নেতা লিটু হত্যার ঘটনায় তার পিতা মোঃ খলিলুর রহমান বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার থানায় ৭ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় এজাহার ভুক্ত আসামীরা হচ্ছে,ফাহাদ, এমদাদ, কামরান, দেলোয়ার, শিপু, কাওছার ও সাহেদ। আসামীদের সবাই উপজেলা ছাত্রলীগের পাভেল গ্রুপের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে। মামলা নং (১৩) ১৭/০৭/১৭।

    বিয়ানীবাজার টাইমস সুত্রে জানা গেছে ঘটনার সময় কলেজে উপস্থিত এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, লিটু নিজের অস্ত্র থেকে বের হওয়া গুলিতে নিহত হলে গুলির আঘাত সরল রেখায় না থেকে নিচ থেকে উপর দিকে থাকতো। লিটুর আঘাত ছিল সরল রেখায়। যার কাছে অস্ত্র ছিল সে লিটুর ডান দিকে কিছুটা আড়াআড়ি অবস্থানে সমান্তরালে ছিল বলেই গুলি সরল রেখায় লিটু ডান চোখের অল্প উপরে আঘাত করে। পুলিশ জানায়, শ্রেণি কক্ষে গুলির শব্দ শুনে কলেজে অবস্থানকারি পুলিশ কক্ষে প্রবেশ করে লিটুর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে।

    এরপর অন্য ছাত্রদের সহযোগিতায় তাকে বিয়ানীবাজার উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার লিটুকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ পুরো শহরে অভিযান চালিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগ পাভেল গ্রুপের তিন নেতাকর্মীদের আটক করে। থানা হেফাজতে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্তত ১৫ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করেছে।

    এসব নেতাকর্মী শ্রেণি কক্ষের ভেতর ও বাইরে অবস্থা করছিলো। তাদের দেয়া তথ্য মতে কলেজ রোড থেকে অস্ত্র উদ্ধার এবং দেলোয়ার হোসেন মিষ্টু নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়। বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত থাকবে। পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালাচ্ছে। আটককৃতদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, অপরাধী যেই হোক তাকে ছাড় দেয়া হবে না।