হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস প্রতিবছর দেবী দুর্গা অশুর রূপী অশুভ শক্তির বিনাশ করতে পৃথিবীতে আগমন করেন এবং পৃথিবীতে শান্তি অবতারণ করে বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে ফিরে যান কৈলাশে।
দুপুরে শুরু হয় বিজয়া শোভাযাত্রা।বিজয়া শোভাযাত্রার প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক চীফ হুইপ,স্থানিয় সাংসদ,আলহাজ্ব উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদ।
শ্রীমঙ্গল সার্বজনীন দুর্গাবাড়িতে সম্মিলিত বাদ্য বাজনা,মন্ত্র উচ্চারণ ও পূজা-অর্চনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ ধর্মীয় শোভা যাত্রা। এ সময় হাজার হাজার হিন্দু ভক্তদের রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে বিসর্জন উপলদ্ধি করতে দেখা গেছে।
বিভিন মন্ডপের দুর্গা প্রতিমা গুলো শোভাযাত্রা করা হয় পুরো শ্রীমঙ্গল শহরে।একে একে প্রতিমা গুলো শোভাযাত্রা করা হয় শ্রীমঙ্গল স্টেশন রোড,হবিগঞ্জ রোড,মৌলভীবাজার রোড,কলেজ রোড প্রদক্ষিণ করে শোভাযাত্রাটি।
পূজা উৎযাপন পরিষদ শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার তথ্যমতে,এবছর শ্রীমঙ্গলে ১৬৭ টি মন্ডপে অনুষ্টিত শারদীয় দুর্গাপূজা।যার মধ্যে ১৫৫ টি মণ্ডপ ছিলো সার্বজনীন ও বাকি ১২ টি ছিলো ব্যক্তিগত।হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতে,দেবী এবার নৌকায় চড়ে এসেছিলেন পিত্রালয়ে এবং ঘোড়ায় চড়ে ফিরে গেলেন কৈলাশে।
এদিকে প্রতিমা বিসর্জন ও বিজয়া শোভাযাত্রার শুরুর ফলে শ্রীমঙ্গলে দেখা দেয় বিশাল যানজটের এতে প্রায় ৩ ঘণ্টারও অধিক যাত্রীদের পোহাতে হয় অবণর্নিয় দুর্ভোগ।মৌলভীবাজার রোডস্থ রুপসপুর জামে মসজিদের সামনে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি ইমারজেন্সি এম্বুলেন্স জামে আটকা পড়ে।পড়ে ইমারজেন্সি লেন করে এম্বুলেন্সটিকে রাস্তা করে দেয়া হয়।