বিশ্বনাথে কিশোরিকে ৮ দিন আটকে রেখে গণধর্ষণ !

    0
    254

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,০৫এপ্রিল,ছাতক প্রতিনিধিঃ  বিশ্বনাথে এক কিশোরিকে টানা ৮দিন আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে। নির্যাতিতা কিশোরীর বাড়ি ছাতক উপজেলার আফজালালাবাদ ইউনিয়নের দশঘর গ্রামে। এঘটনায় এখনো কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।

    জানা গেছে, গত ২৯ জানুয়ারী দুপুরে প্রেমিক বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের পুত্র রুবেল মিয়ার হাত ধরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় ১৭ বছর বয়সী কিশোরী রিমা বেগম (ছদ্ধ নাম)। নিখোঁজের ৩দিন পর ছাতক থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন নিখোঁজ কিশোরীর ভাই সুহেল মিয়া। প্রেমিক রুবেল তার বাড়ির পার্শ্ববর্তি দোকানে প্রেমিকা রিমা বেগমকে ইঞ্জেকশন পুশ করে সংজ্ঞাহীন করে আটকে রাখে এবং রুবেল ও তার সহযোগী রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত ওয়াব উল্লাহর পুত্র শফিক মিয়া, মৃত সাইদুর রহমানের পুত্র আফজল হোসেন’সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২জন ঐ কিশোরীকে টানা ৮দিন গণধর্ষণ করে। এরপর গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে কিশোরীকে একটি সিএনজি অটোরিক্সায় তুলে সিলেট শহরে পাঠিয়ে দিয়ে তার ভাইকে ফোন করে ধর্ষণকারীরা। এরপর কিশোরীর ভাই সিলেট নগরীর কাজিরবাজার ব্রিজের উপর থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। এসময় অটোরিক্সা চালক বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের মৃত আব্দুন নুরের পুত্র গফুর আলীকে আটক করেন জনতা। এরপর কিশোরীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় এবং অটোরিক্সাসহ আটক চালককে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোল্লারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মকন মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য চেয়ারম্যান উভয় পক্ষকে নিয়ে দফায় দাফায় বৈঠক করেন।

    রামপাশা ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য তাজ উল্লাহ বলেন, বিষয়টি আপোষে নিস্পত্তির জন্য আমরা চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি। অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে আগামী রবিবার মেয়েটিকে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

    এব্যাপারে চেয়ারম্যান হাজী মকন মিয়া বলেন, ঘটনার পর সিএনজি চালককে নিয়ে আমার কাছে আসলে আমি অভিযুক্তদের এলাকার মুরব্বিদের ডেকে আনি এবং তারা বিষয়টি আপোষে নিস্পত্তির জন্য আগামী রবিবার পর্যন্ত সময় নিয়েছেন। অটোরিক্সাটি সিলেট বাবনা ষ্টেন্ডের সেক্রেটারীর জিম্মায় রয়েছে।

    ছাতক থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) আশেক সুুজা মামুন বলেন, থানায় এখনো কোন মামলা দায়ের হয়নি। খোঁজ নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।