বিশিষ্ট অভিনেতা শেখ আবুল কাসেম মিঠুনের ইন্তেকাল

    0
    459

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৫মে: দেশের বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেতা, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও গীতিকার শেখ আবুল কাসেম মিঠুন ইন্তেকাল করেছেন  (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।

    পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কোলকাতায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুইটায় তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। তিনি স্ত্রী, মেয়ে, মা ও ভাইসহ অসংখ্য ভক্ত-গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

    শেখ মিঠুনের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আজ (সোমবার) বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে মরহুমের লাশ নিয়ে আসা হবে। লাশ আনার পর গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার দরগাপুরে জানাজার পর সেখানে জানাজা শেষে পিতা শেখ আবুল হোসেনের কবরের পাশে দাফন করা হবে।

    বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অমিত হাসান বলেন, “মিঠুন অনেক শক্তিমান অভিনেতা ছিলেন। এক সময় তিনি আমাদের শিল্পী সমিতির নেতৃত্ব  দিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। এত শান্তি প্রিয় মানুষ তিনি, যে কেউ শ্রদ্ধা করতে বাধ্য। আমরা তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি।”

    গত ১১ মে সোমবার অসুস্থ মা হাফেজা খাতুনকে দেখতে খুলনার যান আবুল কাসেম মিঠুন। সেখানে বুধবার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল খুলনায় ভর্তি করা হয়। সেখানে সোমবার পর্যন্ত তার চিকিৎসা চলে। তার অবস্থার আরো অবনতি হলে গত ১৯ মে সড়কপথে নিয়ে গিয়ে কোলকাতার ধর্মতলার ফাবস ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে প্রথমে বিশিষ্ট কার্ডিয়াক সার্জন প্রফেসর ডা. পি বি শুকলা এবং পরে কোঠারী হাসপাতালের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. শেখ শামীমুল হকের চিকিৎসাধীন ছিলেন।

    গতকাল রোববার তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে আইসিইউতে নেয়া হয়। রাত ২টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে তার সাথে অবস্থানরত ছোট ভাই শেখ ফারুক হোসেন টেলিফোনে সাংবাদিকদের জানান।

    চিকিৎসকরা জানান, শেখ আবুল কাসেম মিঠুন কিডনি, লিভার, হার্ট ও ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছিলেন।

    শেখ আবুল কাসেম মিঠুন ১৯৫৮ সালের ১৮ এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৮ সালে খুলনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক কালান্তরে লেখালেখির মধ্য দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন। এরপর তিনি চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘ভেজা চোখ’, ‘আয়না বিবির পালা’, ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ ও ‘বাবা কেন চাকর’। তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্রের সংখ্যা অর্ধশতাধিক।

    মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ সংস্কৃতি কেন্দ্রের উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। রাজধানী ঢাকার আদাবরে পরিবারসহ ভাড়া থাকতেন মরহুম মিঠুন।ইরনা