বিমান বাহিনীকে অত্যাধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে

    0
    219

    জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,ডিসেম্বর,এম ওসমানঃ ফোর্সেস গোল-২০৩০ অনুযায়ী দেশের বিমান বাহিনীকে অত্যাধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    মঙ্গলবার  যশোরের বিমানবাহিনী একাডেমির রাষ্ট্রপতির কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ অনুযায়ী গত ৭ বছরে আমরা সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর উন্নয়ন করে যাচ্ছি। এরই অংশ হিসেবে বিমান বাহিনীতে সংযোজন করেছি এফ-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান, এমআই-১৭১ এসএইচ হেলিকপ্টার, ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র এফএম-৯০। বিমান ঘাঁটি বঙ্গবন্ধু ও কক্সবাজারকে পূর্ণাঙ্গ ঘাঁটি হিসেবে স্থাপন করা হয়েছে।

    সকল ধরনের বিমান ও অন্যান্য যন্ত্রপাতির সুষ্ঠু, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী রক্ষণাবেক্ষণ এবং ওভারহোলিংয়ের লক্ষ্যে আমরা নির্মাণ করেছি বঙ্গবন্ধু এ্যারোনটিক্যাল সেন্টার। একইসাথে এমআই সিরিজ হেলিকপ্টার ওভারহোলিংয়ের লক্ষ্যে ২১৬ এমআরও ইউনিট নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

    সম্প্রতি বিমান বাহিনীতে সংযোজন করেছি অত্যাধুনিক ফ্লাই বাই ওয়ার সিস্টেম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ডিজিটাল ককপিট সম্বলিত ইয়াক-১৩০ কমব্যাট ট্রেইনার বিমান ও উচ্চ প্রযুক্তি সমৃদ্ধ মেরিটাইম সার্চ এন্ড রেসকিউ এডব্লিউ১৩৯ হেলিকপ্টার। আমাদের সমুদ্রসীমার এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন এর আকাশসীমা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য কক্সবাজারে স্থাপিত হয়েছে ওয়াইএলসি-৬ এয়ার ডিফেন্স রাডার।

    সম্প্রতি বিমান বাহিনীতে সংযোজিত কে-৮ ডব্লিউ জেট ট্রেইনার ও এল-৪১০ ট্রান্সপোর্ট ট্রেইনার বিমান উড্ডয়ন প্রশিক্ষণকে আরও উন্নত ও সমৃদ্ধ করেছে। এই একাডেমিতে আন্তর্জাতিক মানের বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ দ্রুততার সাথে এগিয়ে চলছে যা প্রশিক্ষণের মানকে আরও আধুনিক করবে বলে আমার প্রত্যাশা।

    প্রধানমন্ত্রী এ সময় মুক্তিযুদ্ধের সময় বিমান বাহিনীর রয়েছে গৌরবময় ইতিহাসকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।

    এছাড়া স্বাধীনতার পর দেশের বিমানবাহিনীকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পরপরই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের আর্থিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও তিনি (বঙ্গবন্ধু) একটি দক্ষ ও চৌকস বিমান বাহিনী গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন। অতি অল্প সময়ের মধ্যে বিমান বাহিনীর জন্য বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। বিদেশ থেকে আধুনিক সমরাস্ত্র সংগ্রহ করেন। জাতির পিতা চট্টগ্রামে জহুরুল হক ঘাঁটির গোড়াপত্তন করেন।

    প্রধানমন্ত্রী নবীন ক্যাডেটদের নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমার প্রত্যাশা, বিমান বাহিনী একাডেমি থেকে যে মৌলিক প্রশিক্ষণ আপনারা গ্রহণ করেছেন তার যথাযথ অনুশীলন করবেন। পেশাগত মানোন্নয়নের জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকবেন। প্রত্যেকটি চ্যালেঞ্জকে সুযোগে পরিণত করে তা ব্যক্তি ও পেশাগত জীবনে প্রয়োগ করবেন। মনে রাখবেন, আপনাদেরকে বিমান বাহিনীর ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য সততা, একাগ্রতা ও নিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই।