বিডিআর বিদ্রোহ মামলার রায় ঘোষণা আজ

    0
    210

    আমার সিলেট  24 ডটকম,০৫নভেম্বরঃ দেশে ইতিহাসের জঘন্যতম বিডিআর বিদ্রোহ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ মঙ্গলবার । ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করবেন। ইতিহাসের জঘন্যতম এ হত্যাকান্ডের প্রায় ৪বছর ৮ মাস পর এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায় ঘোষিত হবে। ৩০ অক্টোবর মামলার রায় ঘোষণার তারিখ থাকলেও রায় প্রস্তুত না হওয়ায়, ওইদিন রায় ঘোষণার জন্য ৫ নভেম্বর তারিখ পুনধার্য করা হয়। এর আগে গত ২০ অক্টোবর ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসার পাশে কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন মাঠে ঢাকার জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে আসামি ও রাষ্ট্র পক্ষের চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক শেষ হয়।
    রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, আশা করছি মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, ইতিহাসে এত বড় মামলা আর কখনো হয়নি। মামলায় সাড়ে আট’শ আসামীর বিষয়ে প্রায় সাড়ে ছয়শ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। মাত্র দু’সপ্তাহ আগে মামলার বিচার কাজ শেষ হয়েছে। তাই এ মামলায় রায় প্রস্তুত করতে সময় লাগছে।
    ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনাকর্মকর্তাসহ ৭৪ জন হত্যাকান্ডের শিকার হয়। এ ঘটনায় প্রথমে রাজধানীর লালবাগ থানায় হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা হয়। পরে এসব মামলা নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তর করা হয়। এ মামলায় সিআইডি দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২৩ বেসামরিক ব্যক্তিসহ প্রথমে ৮২৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে সম্পূরক অভিযোগপত্রে আরও ২৬ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়।
    এছাড়া বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় প্রথমে ৮০৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় সিআইডি। পরে আরও ২৬ জনকে অভিযুক্ত করে মোট ৮৩৪ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়া হয়। দুই মামলার বিচার একইসঙ্গে চলে। মামলায় ২০ জন আসামি পলাতক রয়েছেন। বিচার চলার সময়ে বিডিআরের ডিএডি রহিমসহ চার আসামির মৃত্যু হয়। মামলায় আসামীদের মধ্যে বিএনপি নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীও রয়েছেন।বিডিআর বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর নাম পুনর্গঠন করা হয়। নাম বদলের পর এ বাহিনী এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নামে পরিচিত। বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ইতিমধ্যে এ বাহিনীর নিজস্ব আইনে বিচার সম্পন্ন হয়েছে। পিলখানায় বাহিনীর সদর দপ্তরে ৭৪জনকে হত্যা, লুণ্ঠনসহ অন্য অভিযোগের বিচার প্রচলিত আইনে পরিচালিত হয়েছে।