বিচারকদের প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী ভাবলে হবে না

    0
    203

    “সুরঞ্জতি সেনগুপ্ত বলেন, বিচারকদের প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী ভাবলে হবে না”

    “বিচারাধীন মামলার জট খুলতে সান্ধ্যকালীন কোর্ট বসানোর সুপারিশ”

    আমারসিলেট24ডটকম,০১এপ্রিলঃ বিচারাধীন মামলার জট খুলতে সান্ধ্যকালীন কোর্ট বসানোর সুপারিশ করেছে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।বিচারাধীন ২৬ লাখ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সান্ধ্যকালীন কোর্ট বসানোর সুপারিশ করে বলা হয়েছে, এটি কার্যকর হলে মানুষের স্বল্প সময়ে সুলভে ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত  সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা বলেন।
    তিনি বলেন, আইনের শাসন বা সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে বিচারপতিদের মূল্যায়ন করতে হবে। প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিচারপতিদের তুলনার সুযোগ নেই। আর সেজন্য সংসদে উত্থাপিত বিচারপতিদের বিশেষ ভাতা প্রদান সংক্রান্ত বিল ‘সুপ্রীম কোর্ট জাজেস (রিমুনেশন এন্ড প্রিভিলিজেস) (এমেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট-২০১৪’ সংসদীয় কমিটির রোববারের বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
    সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, বর্তমানে উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে ২৬ লাখ মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এই বিপুলসংখ্যক মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হলে দুই আদালতেই দ্বিতীয় শিফট বা সান্ধ্যকালীন কোর্ট চালু করতে হবে। আর সে জন্য প্রয়োজনে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের পুনরায় নিয়োগ করা যেতে পারে।এজন্য উচ্চ আদালতের ক্ষেত্রে আইন সংশোধন প্রয়োজন হবে উল্লেখ করে কমিটির পক্ষ থেকে আইন সংশোধনের একটি খসড়া মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।
    পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ অন্যান্য দেশের উদাহরণ টেনে তিনি আরো বলেন, ওইসব দেশে দুই শিফট চালু আছে। পুরানো অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি না করতে পারলে সুশাসন ও গণতন্ত্র সবই ব্যর্থ হবে। তাই দুই শিফট চালু করার আগে বিচারক নিয়োগের বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে হবে। তাদের আলাদা বেতন কাঠামো তৈরি করতে হবে।
    সুরঞ্জতি সেনগুপ্ত বলেন, বিচারকদের প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী ভাবলে হবে না। প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের বেতন কাঠামো করলে ভুল হবে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তাদের আলাদা বেতন কাঠামো দিতে হবে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিচারপতিদের জন্য ৫০ শতাংশ বিশেষ ভাতা প্রদান করার।
    কয়েকটি দেশের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, আমাদের দেশে প্রধান বিচারপতির বেতন ৫৬ হাজার টাকা। ভারতে প্রধান বিচারপতির বেতন ১ লাখ টাকা। পাকিস্তানে ১ লাখ ৯২ হাজার ৮৭৫ টাকা এবং শ্রীলংকায় ৭০ হাজার টাকা। আপিল বিভাগের বিচারপতিদের বেতন ৫৩ হাজার ১০০ টাকা, ভারতে ৯০ হাজার টাকা, পাকিস্তানে ১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা এবং শ্রীলংকায় ৬৫ হাজার টাকা।
    প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বিচার ব্যবস্থা গতিশীল করতে উচ্চ আদালতের অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস এবং নিম্ন আদালতের পিপি ও জিপি অফিসের কার্যক্রম সংস্কার প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন।