বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের মধ্য দিয়ে মে দিবস পালন

    0
    237

    আমারসিলেট24ডটকম,০২মেঃ মহান মে দিবসে পূর্ণ দিবস স্ববেতনে ছুটি, ৮ ঘন্টা কর্মদিবসসহ শ্রম আইন বাস্তবায়ন ও সরকার ঘোষিত ন্যূনতম মজুরির গেজেট কার্যকর ও শ্রীমঙ্গলে শ্রম আদালত স্থাপনের দাবিতে হোটেল সেক্টরে সরকার ঘোঘিত নিম্নতম মজুরি ও শ্রম আইন বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদ কুলাউড়া উপজেলা শাখা ২৪ ঘন্টা কর্মবিরতি পালনের মাধ্যমে মহান মে দিবস পালন করে। মহান মে দিবসের ১২৮-তম বার্ষিকীতে ১ মে দিনভর সারা শহরে লাল পতাকা হাতে নিয়ে হোটেল শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। হোটেল শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে কুলাউড়ায় এ দিন কোন হোটেল খোলা দেখা যায় নি। এদিকে কেন্দ্রীয় সংগ্রাম পরিষদের আহবানে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীঙ্গলের হোটেল শ্রমিকরা দিনব্যাপী সর্বাত্নক ছুটি পালনের মাধ্যমে মে দিবস পালন করায় শ্রীমঙ্গলেও কোন হোটেল খোলা ছিল না। মৌলভীবাজার শহরের একাধিক হোটেল বন্ধ ছিল। কুলাউড়ার হোটেল শ্রমিকরা পাবলিক লাইব্রেরীতে জমায়েত হয়ে সমাবেশ।

    মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের কুলাউড়া উপজেলা কমিটির সভাপতি ছায়েদ মুন্সীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ মৌলভীবাজার জেলা শাখার অন্যতম নেতা আফজাল চৌধুরী। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম, হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন কুলাউড়া উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি মিজান মিয়া, সাধারণ সম্পাদক জমির মিয়া, সহ-সাধারণ সম্পাদক কিরণ মিয়া, পৌর কমিটির সভাপতি হাসান মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশিক খান, বিল্লাল হোসেন, সোহাগ মিয়া প্রমূখ।

         সমাবেশ বক্তারা বলেন মহান মে দিবস উপলক্ষে ১ মে সারাবিশ্বের শ্রমিক শ্রেণী ছুটি ভোগ করে থাকেন। বাংলাদেশের সর্বস্তরের সরকারীÑ বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীরা ছুটি ভোগ করলেও আমরা হোটেল শ্রমিকরা এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছি। কোন কোন ক্ষেত্রে ছুটি দিলেও বেতন ও খানা দানা দেওয়া হয় না। শুধু তাই নয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ২০০৯ সালের ২৪ নভেম্বর হোটেল সেক্টরে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য নিম্নতম মজুরির গেজেট প্রকাশ করলেও অদ্যাবধি তা কার্যকর করা হয়নি। ১৮৮৬ সালে মহান মে দিবসের রক্ত ঝরা সংগ্রামের মাধ্যমে ৮ ঘন্টা কর্মদিবসের দাবি প্রতিষ্ঠিত হলেও হোটেল শ্রমিকরা দৈনিক ১০/১২ ঘন্টা অমানবিক পরিশ্রম করে অর্ধাহারে-অনাহারে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হন, যার কারণে হোটেল শ্রমিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।