বিকৃত যৌনাকাঙ্ক্ষা চরিতার্থে ব্যর্থ হয়ে শিশুকে গলাকেটে হত্যা!

    0
    244

    আমারসিলেট24ডটকম,২২অক্টোবরঃ ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জে ১০ বছর বয়সি মাদরাসা ছাত্র হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। তাহফিজুল নুরানি হাফেজি মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্র আবু রায়হানকে বলৎকারের চেষ্টায় ব্যর্থ হন ওই মাদ্রাসার বাবুর্চি শাহ আলম। এরপর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ওই শিশুকে গলাকেটে হত্যা করেন তিনি। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান।

    গত সোমবার সকাল আটটায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তাহফিজুল নুরানি হাফেজি মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্র আবু রায়হান (১০) এর গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পূর্ব আগানগরে অবস্থিত ওই মাদরাসার রান্নাঘর থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

    পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর রায়হানের বাবা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা অপরাধীদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এর পরপরই ঢাকা জেলা পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তৎপর হয়।

    আটক করা হয় মাদরাসার ছয় শিক্ষকসহ নয়জনকে। অবশেষে সোমবার রাতে মাদরাসার বাবুর্চি শাহ আলমকে মাদরাসা থেকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি রায়হানকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

    শাহ আলমের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শাহ আলম নিজেই আবু রায়হানকে হত্যা করেছে। গত রোববার রাত আনুমানিক একটার দিকে রায়হান ঘুম থেকে উঠে টয়লেটের দিকে যাচ্ছিল। এমন সময় রায়হানকে প্রলোভন ও  ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রথমে নিজের রুমে নেয়ার চেষ্টা করে শাহ আলম। তাতে ব্যর্থ হয়ে রান্না ঘরের ভেতর নিয়ে যায়। সেখানে রায়হানকে বলাৎকার করার চেষ্টা করলে সে চিৎকার করে। তখন শাহ আলম রান্না ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। বিকৃত যৌনাকাঙ্ক্ষা চরিতার্থে ব্যর্থ হয়ে রান্না ঘরে রক্ষিত বটি দিয়ে রায়হানের বুকের ওপর বসে তাকে গলাকেটে হত্যা করেন শাহ আলম।

    ভেজা কাপড় দিয়ে  হত্যায় ব্যবহৃত বটি মুছে কাপড়টি রান্না ঘরের পেছনে ময়লা আবর্জনার মধ্যে ফেলে দেয়া হয় এবং নিজের শরীরে লেগে থাকা রক্ত ধুয়ে নিজের বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েন শাহ আলম।

    গ্রেফতারের পর পুলিশ শাহ আলমের স্বীকারোক্তি মোতাবেক হত্যায় ব্যবহৃত বটি ও রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করে। হত্যার সময় শাহ আলমের পরনে থাকা রক্তমাখা লু্ঙ্গিটিও জব্দ করা হয়েছে।শাহ আলমের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। তার স্ত্রী বর্তমানে অন্তঃসত্তা।শাহ আলমের বিরুদ্ধে ওই মাদ্রাসায় এর আগেও এক ছাত্রকে বলৎকার করার অভিযোগ আছে। এছাড়া আগের কর্মস্থলেও তার বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ ছিল বলে পুলিশ তথ্য পেয়েছে।