বিএনপি নেতা পিন্টুর জানাজা শেষে খালেদা জিয়ার শ্রদ্ধা

    0
    245

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৪মে: বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুর জানাজা শেষে তার মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

    সোমবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে নয়াপল্টনে পিন্টুর কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। সেখানে ৫ মিনিট অবস্থান করে বেলা পৌনে ১২ টার সময় নয়াপল্টন থেকে গুলশানের উদ্দেশে রওয়ানা হন বিএনপি চেয়ারপারসন।

    এর আগে সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পিন্টুর দ্বিতীয় নামাযে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।  জানাজায় অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টর জমির উদ্দিন সরকার, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন ও দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

    জানাজা শেষে নয়াপল্টন থেকে পিন্টুর মরদেহ হাজারিবাগের বাসায় নেয়া হয়। বাদ আসর লেদার টেকনোলজি কলেজ মাঠে তার তৃতীয় ও শেষ জানাজার পর তাঁকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

    রোববার দুপুর ১২ঃ২০ মিনিটে রাজশাহীতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান পিন্টু। এ  সময় তিনি রাজশাহী কারাগারে ছিলেন। অসুস্থ অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। রোববার রাত সোয়া ১১টার দিকে পিন্টুর ছোট ভাই নাসিম উদ্দিন আহাম্মেদ রিন্টু রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মর্গে কারা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ভাইয়ের লাশ বুঝে নেন। পরে নগরীর হেতেম খাঁ বড় মসজিদ প্রাঙ্গণে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে রাত ১১টা ৪০ মিনিটে লাশ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন স্বজনরা। আজ সোমবার ভোর সাড়ে ৫টায় পুরান ঢাকার হাজারীবাগ থানাধীন মনেশ্বর রোডের পিন্টুর বাসায় তার মরদেহ পৌঁছে।

    পিন্টুর স্ত্রী-পরিজন, বিএনপি ও দলের চেয়ারপারসনের অভিযোগ, ‘চিকিৎসায় অবহেলা করে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে রাজশাহীতে নেয়া হয়।’

    পিন্টুর স্ত্রী নাসিমা আক্তার কল্পনা লালবাগের নিজ বাসায় রোববার বিকেল সাড়ে ৪টায় উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশনা ছিল, পিন্টুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা দেয়া। আমরা আদালতের ওই নির্দেশনার কাগজ আইজি প্রিজনের কাছে দিলেও তাকে রাজশাহী নিয়ে যাওয়া হয়।’

    এদিকে, নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, “পিন্টু হত্যার বিচার হবে। আশা করি আমরা দেখে যেতে পারব। হাসিনারও বিচার হবে। কারণ তার নির্দেশেই সব হয়েছে। তার নির্দেশেই তাকে রাজশাহী নেয়া হয়েছে।

    তবে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর চিকিৎসায় কোনো গাফিলতি ছিল না। এটা নিয়ে কেউ কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দিলে তা হবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন।’ রবিবার ঢাকা রেঞ্জের ত্রৈমাসিক ক্রাইম কনফারেন্স শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

    পিলখানা হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নাসির উদ্দিন পিন্টুকে ২০ এপ্রিল রাত ১১টা ৪০ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর বিরুদ্ধে পিলখানা হত্যা মামলাসহ দুর্নীতি ও ভাংচুরের সাতটি মামলা রয়েছে।৭ মামলার মধ্যে পিলখানা হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর রাজধানীর লালবাগে অবস্থিত আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ড. মোঃ আখতারুজ্জামান পিন্টুকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেন।