বাহুবলে ৪ শিশু হত্যা মামলায় ৩ জনের ফাঁসি ২ জনের কারাদণ্ড

    0
    402

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৬জুলাইঃ হবিগঞ্জের বাহুবলে একসাথে ৪ শিশু হত্যা মামলায় ৩ জনের ফাঁসি ২ জনের ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ৩ জনকে খালাশ দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত।

    জেলার বাহুবল উপজেলায় চাঞ্চল্যকর চার শিশু হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছে  আজ। গতকাল মঙ্গলবার সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান রায় ঘোষণার জন্য বুধবারের দিন ধার্য করেন।

    ২০১৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বিকালে বাড়ির পাশের মাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় চার শিশু। তারা হলেন সুন্দ্রাটিকি গ্রামের আবদাল মিয়া তালুকদারের ছেলে মনির মিয়া (৭), ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), আব্দুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া (১০) এবং আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল হোসেন (১০)। এদের মধ্যে মনির সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে, তার দুই চাচাতো ভাই শুভ ও তাজেল একই স্কুলে দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে এবং তাদের প্রতিবেশী ইসমাইল ছিল সুন্দ্রাটিকি মাদ্রাসার ছাত্র।

    নিখোঁজ হওয়ার পাঁচ দিন পর ইছাবিল থেকে তাদের বালিচাপা দেয়া মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে সারাদেশে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। এ ঘটনায় মনির মিয়ার বাবা আবদাল মিয়া বাদী হয়ে বাহুবল থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় নয়জনকে আসামি করা হয়।

    ২০১৬ বছরের ২৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির তৎকালীন ওসি মোক্তাদির হোসেন নয় জনের বিরুদ্ধেই আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এরপর গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান আব্দুল আলী বাগাল ও তার দুই ছেলেসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

    এর মধ্যে আসামি বাচ্চু মিয়া র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। কারাগারে আছেন আরজু মিয়া, শাহেদ, আব্দুল আলী বাগাল, তার দুই ছেলে জুয়েল মিয়া ও রুবেল মিয়া। আর উস্তার মিয়া, বাবুল মিয়া ও বিল্লাল পলাতক রয়েছেন।

    সুন্দ্রাটিকি গ্রামের দুই পঞ্চায়েত আবদাল মিয়া তালুকদার ও আব্দুল আলী বাগালের মধ্যে পারিবারিক বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলে মামলার তদন্ত ও আসামিদের দেয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে জানান পুলিশ।

    হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ বছরের ৭ সেপ্টেম্বর মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। হবিগঞ্জ আদালতে মামলার ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

    গত ১৫ মার্চ মামলাটি সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হলে আরও সাতজনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। এরপর রায়ের জন্য আজকের দিন আজকের দিন ধার্য করা হয়।