বাহুবলে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষঃআহত-১০আটক-২

    0
    205

    আমারসিলেট24ডটকম,৩১ডিসেম্বর,তফিদুর রহমান তালুকদার তৌফিকবাহুবলে বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের হরতাল চলাকালে বিশৃংখলা সৃষ্টির অভিযোগ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীন মিয়া (৩০) কে পুলিশ আটক করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রদল বিক্ষোভ মিছিলবের করলেও পুলিশী বাধায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে পুলিশ উপজেলা বিএনপি সভাপতি ও ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ককে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

    অবস্থায় বিএনপি-ছাত্রদল নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে জবাব দেয়। এ সুযোগে আটককৃতরা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ব্যবসায়ীসহ ১০ জন আহত হয়েছে।সোমবার ২০ দলীয় জোটের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল সফল করার উদ্দেশ্যে বাহুবল উপজেলা বিএনপির সভাপতি আকাদ্দছ মিয়া বাবুলের নেতৃত্বে সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সকাল ৯টায় মিরপুর বাজার পয়েন্টে জড়ো হয়ে পিকেটিং শুরু করে।বেলা ১১টার দিকে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ তারা মিয়ার নেতৃত্বে আওয়ামী যুবলীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকে।

    এক পর্যায়েবিএনপিনেতাকর্মীরাএকটিট্রাক আটক করলে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা জোরপূর্বক সে ট্রাকটি ছেড়ে দেয়। এ নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামীলীগের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় পুলিশের সহযোগিতায় আওয়ামীলীগ হরতাল বিরোধী মিছিল বের করে মিরপুর পয়েন্ট নিয়ন্ত্রনে নিয়ে যান বাহনের চলাচল উন্মুক্ত করে দেয়। এ পরিস্থিতিতেবিএনপিনেতাকর্মীরাপিছু হটে কলেজ রোডের গনি জাহান কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থান নেয়।

    পরে বিএনপি পাল্টা মিছিল বের করার চেষ্টা করলে বাহুবল মডেল থানার ওসি আলী ফরিদ আহমেদ ও মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল-এর অনুরোধে বিএনপি মিছিল করা থেকে বিরত থাকে। এ উদ্যোগের ফলে উভয় পক্ষে উত্তেজনা কমতে শুরু করে। পরে ঐ জায়গা থেকে দুপুর ১২টার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা চলে যায়।এদিকে বেলা ২টার দিকে হবিগঞ্জের এএসপি (সার্কেল) সাজ্জাদুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহব্বায়ক শাহীন মিয়াকে ঢাকা-সিলেট মহা-সড়কের মিরপুর চৌমুহনাস্থ ‘বনফল কনফেকশনারী’র কাছ থেকে আটক করে।

    এ খবরে আবারও বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বেলা আড়াই টার দিকে শাহীন মিয়াকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশ এগিয়ে আসলে মিছিলকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ উপজেলা বিএনপি সভাপতি আলহাজ্ব আকদ্দছ মিয়া বাবুল ও উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়ার যুগ্ম আহবায়ক জামাল আহমেদকে আটক করে গাড়িতে উঠানোর চেষ্টা চালায়।

    এ সময় হরতাল সমর্থকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পুলিশও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পাল্টা জবাব দেয়। এতে পুলিশ ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়লে আটককৃতরা পালিয়ে যান। এতে ব্যবসায়ী সহ অন্তত ১০ জন আহত হয়।

    এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাহুবল থানার ওসি আলী ফরিদ আহমেদ জানান, বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা মুখাবেলায় পুলিশ ৯ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।