আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০২জুনঃ বাহুবল উপজেলার খাগাউড়া গ্রামের পারুল নামে এক স্বামী পরিত্যাক্তা মহিলার দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় গ্রামবাসীর মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। মামলার তদন্ত করতে রবিবার বাহুবল থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে ফিরে আসার পর ওই মামলায় গ্রামবাসীর মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ওই গ্রামের পঞ্চায়েতী ফান্ডের প্রায় ২৫ লাখ টাকা আত্মসাতের বিষয়টি নিয়ে গ্রামের একটি অংশের মাঝে বিভক্তি দেখা দেয়। এর কোন সমাধান না হওয়ায় গ্রামের মুরুব্বী আমিরুল ইসলাম বাদী শওকত মিয়া গংকে দায়ী করে গত ৪ মার্চ বাহুবল মডেল থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন। এর পর থেকেই আসামী পক্ষ বাদী আমিরুল গংদের ফাসাতে মরিয়া হয়ে উঠে। এরই জের ধরে সুবিধার বিনিময়ে একই গ্রামের বেলদার মিয়ার কন্যা স্বামী পরিত্যাক্তা পারুল বেগম নামে এক মহিলা আমিরুল ইসলামসহ ৪জনকে আসামী করে আদালতে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে বলে স্থানীয় একটি সূত্রে জানা যায়।
অপর দিকে মামলার ঘটনাস্থল দেখানো হয় গ্রাামের ‘হাজী এ ওয়াহিদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের এক কক্ষে অথচ স্কুলের নাইটগার্ড ইদুল মিয়া নামে এক ব্যক্তি সার্বক্ষণিক পাহারায় নিয়োজিত রয়েছেন। ওই মামলাকে মিথ্যা বলেই এলাকার সবাই আখ্যায়িত করছেন। রবিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) আব্দুর রহমান ঘটনাস্থলে গেলে অনেকের মাঝেই বিষয়টি নিয়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করে।
স্কুলের তথ্য দিয়ে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করায় গ্রামবাসী স্কুলের মান সম্মান হানি হয়েছে বলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এ মামলা নিয়ে গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে।