বান্ধবীকে নিয়ে খোশগল্পে মেতে উঠলে জনতার রোষানলে সাব-রেজিষ্ঠার

    0
    236

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৬ফেব্রুয়ারী,রেজওয়ান করিম সাব্বিরঃ বান্ধবীকে নিয়ে নিজ রুমে খোশ গল্পে মেতে উঠলে উত্তোজিত জনতার রোষানলে পড়েন জৈন্তাপুর উপজেলা সাব-রেজিষ্ঠার শংকর কুমার ধর। জনতা অভিলম্বে দূর্নিতিবাজ ও লম্পট সাব-রেজিষ্টার শংকরকে জৈন্তাপুর থেকে প্রত্যাহার দাবী করলে সহকারী কমিশনার ভূমির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

    উপস্থিত জনতা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়- আজ ২৬ ফেব্র“য়ারী বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় জৈন্তাপুর উপজেলা সাব-রেজিষ্ঠার অফিসে এ ঘটনা ঘটে।

    সুত্র জানায়, বিকাল ২টায় এজলাসে উঠেন সাব-রেজিষ্ঠার শংকর কুমার ধর।পরে প্রায় ঘন্টা খানেক এজলাসে থাকার পর অতি পরিচিত এক বান্ধবী ফোন দিলে তিনি এজলাশ ছেড়ে চলে আসেন নিজ কক্ষে। বান্ধবীকে নিয়ে খোশগল্পে মেতে উঠেন তিনি।

    এদিকে সকাল ১০টা থেকে রেজিষ্ট্রি করতে আসা লোকজন হরিপুর এলাকার মুজিবুর রহমান কালা, মুহিব আহমদ, হরিপুর হেমু গ্রামের রুহুল আমিন, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা নজমুল ইসলাম, হেমু ভেলোপাড়া গ্রামের মোঃ জমির উদ্দিন, চারিকাটা ইউনিয়নের রামপ্রসাদ গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, দরবস্ত ইউনয়নের সাতারখাই গ্রামের বিলাল উদ্দিন, সারিঘাট এলাকার লিয়াকত আলী, দরবস্ত নুরপুর গ্রামের সাহেদা বেগম, আফিয়া বেগম, সাফিয়া বেগম, চাল্লাইন গ্রামের আজিরা বেগম, কুড় গ্রামের রাজিয়া বেগম সহ প্রায় কয়েক শতাধিক পুরুষ মহিলা জানায় দীর্ঘ দিন থেকে রেজিষ্ট্রারী কর্মকর্তা এই সেই দেখিয়ে বিভিন্ন ভাবে তাদেরকে হয়রানি করে আসছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ২/৩সাপ্তাহ ঘুরে এখন পর্যন্ত রেজিষ্টি করতে পারেননি।

    এছাড়া অভিযোগ উঠেছে অতিরিক্ত টাকা কামাই করার জন্য রেজিষ্টার টালবাহানা করে অফিস টাইম পার করে অতিরিক্ত সময়ে দলিল করে দেওয়ার নামে প্রতি দলিলে ৫শত টাকা করে বাধ্যতামূলক ফি আদায় করে আসছেন এবং রশিদের মাধ্যমে দলিল রেজিষ্টি করার বিধান থাকলেও নগদ টাকার বিনিময়ে তিনি রশিদ ছাড়া দলিল করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তারা আরও আমরা সকাল থেকে এসে দীর্ঘ লাইন ধরে রেজিষ্টারী করার আসায় বসে থাকার পরেও তিনি এজলাসে না এসে বান্ধবীকে নিয়ে বসে খোশগল্পে মেতে উঠেন। দীর্ঘ সময় পার হওয়ার পর কর্মকর্তা এজলাসে না আসায় উত্তেজিত দলিল গ্রাহকরা সাবরেজিষ্ঠার শংকর কে বান্ধবী সহ অবরোধ করে রাখে। এসময় বান্দবীকে স্থানীয় জনতা আটকে রাখে।

    ঘটনার সংবাদ পেয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার এস,আই আব্দুল মোতালেব দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে রেজিষ্টার শংকর কুমার ধর কে উদ্ধার করে তার অফিস কক্ষে নিয়ে আসে। এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে সহকারী কমিশনার(ভূমি) শেখ মোঃ শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌছলে উত্তেজিত দূর্নিতিবাজ শংকরের অপসারন দাবী করে। জনতার দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে সহকারী কমিশনার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে করেন।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ খালেদুর রহমান জানান- লোক মূখে ঘটনাটি জানতে পারি। জরুরী কাজে সিলেট শহরে মিটিংয়ে রয়েছেন বলে তিনি জানান।