বাতির নিচে অন্ধকার,উন্নয়নে চাই শিক্ষার আলো

    0
    234

    “৮ নারী কাউন্সিলর কেউই বিদ্যালয়ের গন্ডি পেরোননি”

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৬ডিসেম্বর,আলী হোসেন রাজনঃ কুলাউড়া পৌরসভার তিনটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের আটজন নারী কাউন্সিলর প্রার্থীর কেউই বিদ্যালয়ের গন্ডি পেরোননি। সাতজনই ‘স্বাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন’। একজন নবম শ্রেণি পাস। অন্যান প্রার্থীদের বেশির ভাগেরই কোনো স্থাবর সম্পদ নেই। তাঁদের অস্থাবর সম্পদের তালিকায় স্বর্ণালংকার ও বিভিন্ন ধরনের আসবাব রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে জমা দেওয়া হলফনামায় প্রার্থীরা এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন।

    হলফনামা ঘেঁটে দেখা গেছে, ১ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের প্রার্থী নাছরিন আক্তার, রাবেয়া বেগম ও শিউলি বৈদ্য, ২ নম্বর ওয়ার্ডের আনোয়ারা বেগম ও রেহানা পারভিন এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দিলারা বেগম ও সুলতানা বেগমের শিক্ষাগত যোগ্যতা ‘স্বাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন’। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী বেবী বেগম চৌধুরী নবম শ্রেণি পাস। সাতজন প্রার্থীই গৃহিণী। একমাত্র শিউলি বৈদ্যের বিউটি পারলারের ব্যবসা আছে।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রার্থী বলেন, ‘পরিবারে অভাব-অনটনের কারণে লেখাপড়া বেশি করতে পারিনি। অলংকার আর আসবাব বিয়েতে পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পেয়েছি।’

    হলফনামায় আরও দেখা যায়, নাছরিন আক্তারের ২৫ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার, ৫০ হাজার টাকার বৈদ্যুতিক সামগ্রী ও ২ লাখ ২০ হাজার টাকার আসবাবসহ অন্যান্য জিনিসপত্র আছে। রাবেয়া বেগমের তিন ভরি স্বর্ণালংকার, একটি রেফ্রিজারেটর ও একটি আলনা এবং শিউলি বৈদ্যের দুই তোলা স্বর্ণ ও দুটি মুঠোফোন আছে। আনোয়ারা বেগমের এক ভরি স্বর্ণালংকার, একটি টেলিভিশন, একটি রেফ্রিজারেটর, দুটি আলমারি ও একটি ড্রেসিং টেবিল রয়েছে। রেহানা পারভিনের ২ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার, দেড় লাখ টাকার আসবাব, একটি টেলিভিশন ও তিনটি বৈদ্যুতিক পাখা আছে। বেবী বেগম চৌধুরীর এক ভরি স্বর্ণালংকার, দুটি আলমারি, একটি ড্রেসিং টেবিল ও ডিনার সেট আছে। দিলারা বেগমের একটি টমটম গাড়ি, একটি টেলিভিশন, একটি রেফ্রিজারেটর, তিনটি খাট, এক সেট সোফা ও দুটি আলমারি এবং সুলতানা বেগমের এক লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার ও ২৫ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী আছে। রাবেয়া বেগম বলেন, এখন নারীরা সব কাজেই এগিয়ে আছেন। জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে কোনো সমস্যা হবে না। একই ধরনের মন্তব্য করেন শিউলি বৈদ্য ও আনোয়ারা বেগম।

    কিন্তু ভোটাররা বলছেন অন্য কথা,যে আটজন নারী কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন তাদের যদি নিজেদেরী শিক্ষা থাকেনা তাহলে এলাকার উন্নয়ন করবে কিভাবে? আমরা ছোটবেলা থেকে শুনেছি শিক্ষার আলো ঘরে ঘরে জ্বালো,আমার যদি নিজেই আলো থাকেনা তাহলে জ্বালাবো কি করে। আমরা দরে নিতে পারি বাতির নিচে অন্ধকার। উন্নয়ন করতে হলে শিক্ষার প্রযোজন আছে বৈ কি?