বাঁশকল প্রত্যাহার ও নির্বাহীর অপসারনের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ স্থগিতঃচলছে কর্ম বিরতী

    2
    256

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৩এপ্রিল,রেজওয়ান করিম সাব্বিরঃ সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে অবৈধ ভাবে বাঁশকল স্থাপন করে আমদানীকৃত এলসি পাথর থেকে চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদে রবিবার বিকাল ৫টার প্রতিবাদ সমাবেশ স্থগিত করলেও কর্ম বিরতী এখন ও চলছে।

    আন্দোলনরত ট্রাক চালক শ্রমিক ইউনিয়ন, তামাবিল কয়লা পাথর ও চুনাপাথর আমদানীকারক গ্র“প, জৈন্তাপুর ট্রাক মালিক সমিতি, জাফলং ট্রাক চালক শ্রমিক ইউনিয়ন, জাফলং ট্রাক মালিক সমিতি, জাফলং ষ্টোন ক্রাশার মিল মালিক শ্রমিক ইউনিয়ন ও সিলেট জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপকালে তারা জানান- গতকাল আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে আহুত প্রতিবাদ সমাবেশ সিলেটের স্থানীয় এক হোটেলে বৈঠকের মাধ্যমে স্থগিত করেছি। সমাবেশ স্থগিত করলেও আমাদের লোড-আনলোড কার্যক্রমটি অব্যাহত থাকার ঘোষনা দেন।

    তারা আরও জানায়- বিভাগীয় কমিশনার কর্তৃক ৩সদ্যসের তদন্ত কমিটি গতকাল ১২এপ্রিল দুপর ১২টায় বিভাগীয় কমিশনার মহোদয়ের কাছে তদন্ত রিপোর্ট হস্তান্তর করেছে। বিভাগীয় কমিশনার আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষনা না দেওয়ার কারনে প্রতিবাদ সমাবেশ স্থগিত করে কর্ম বিরতী অব্যাহত রয়েছে বলে জানান নেতৃবৃন্দরা। অপরদিকে একটি বিশ্বস্থ সূত্রে পাওয়া খবরে নিশ্চিত করেছে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্তৃক স্থাপিত সিলেট-তামাবিল মহসড়ক চাংঙ্গীল এলাকা থেকে সরিয়ে খাঁস কালেকশনের বাঁশকলটি শ্রীপুর কোয়ারীর উৎস মূখ, রাংপানি নদীর উৎস মূখ এবং আদর্শগ্রাম নদীর উৎসমূখে স্থানান্তর করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করে। যার ফলে আন্দোলনরত শ্রমিকরা তাদের সামাবেশ স্থগিত করেছে।

    এদিকে যতক্ষণ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের ঘোষনা না আসছে ততক্ষন পর্যন্ত জৈন্তাপুর-গোয়াইনঘাট উপজেলা আমদানিকৃত পাথার, কয়লা এবং জাফলং, রাংপানি, শ্রীপুর কোয়ারী হতে কোন প্রকারের মালা মাল পরিবহন থেকে বিরত থাকবে বলে জানায় শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতারা।