বর্ধমান বিস্ফোরণকাণ্ডে জড়িত ১২ জনকে সনাক্তঃকয়েকজন গ্রেপ্তার

    0
    217

    আমারসিলেট24ডটকম,০৬ডিসেম্বরঃ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে খাগড়াগড়ে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় বিস্ফোরণের চিহ্নিত জঙ্গি শাহনূর আলমকে গতকাল শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)। এর আগে বর্ধমান বিস্ফোরণকাণ্ডে জড়িত ১২ জনকে সনাক্ত করে তাদের ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করে এনআইএ।

    তাদের কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
    আজ শনিবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সংস্থাগুলো জানায়, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থার সহায়তায় আসামের নলবাড়ি থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সন্দেহভাজন এ অর্থপ্রধানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    গত ২ অক্টোবর বর্ধমান বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে শাহনূরের খোঁজ করছিল এনআইএ। তাকে ধরিয়ে দিতে ৫ লাখ রুপি পুরস্কারও ঘোষণা করে সংস্থাটি। গত ১ মাসে তার স্ত্রী সাজিনা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

    ডক্টর নামেও পরিচিত শাহনূর। আসামের বরপেটা জেলার চাতালা গ্রামে বাস করছিলেন তিনি। তাকে ভারতে জেএমবির আর্থিক জোগানদাতা হিসেবে সন্দেহ করা হয়।
    এদিকে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা জানায়, জঙ্গি তৎপরতা চালানোর জন্য বিদেশ থেকে আসা শাহানুরের মাধ্যমে লেনদেন হত। এছাড়া সাজিনা চোতালার মাদ্রাসায় মেয়েদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিতেন তিনি। ভারতের মাটিতে এ বিস্ফোরণে বাংলাদেশের জঙ্গিদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে দাবি করে নয়া দিল্লির গোয়েন্দারা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে জামায়াতুল মুজাহিদিন সংগঠনটি গড়ে তুলছিলেন তারা।

    ভারতের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, বর্ধমান বিস্ফোরণের তদন্তে তারা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে হত্যায় জঙ্গিদের একটি পরিকল্পনাও জানতে পেরেছেন। এ বিস্ফোরণ তদন্ত দুই দেশের গোয়েন্দারা একযোগে কাজ করছেন। এনআইএ’র একটি দলের ঢাকা সফরের পর বাংলাদেশের গোয়েন্দারাও নয়া দিল্লি সফর করে এসেছেন।
    আসাম পুলিশ জানায়, শাহানুরকে শুক্রবার সন্ধ্যায় নলবাড়ি জেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গুয়াহাটির স্পেশাল ব্রাঞ্চের সদর দপ্তরে তাকে জেরা করা হচ্ছে।

    গত ২ অক্টোবর বর্ধমান বিস্ফোরণের পর ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে শাহানুরের নাম আসার পর বাসস্থল আসামের চোতালা গ্রাম থেকে তিনি সস্ত্রীক পালিয়ে যান।

    গ্রামবাসী শাহানূরকে হাতুড়ে চিকিৎসক হিসেবে চেনেন। তবে পুলিশ জানায়, চিকিৎসা পেশার আড়ালে আসলে জঙ্গি তৎপর ছিলেন শাহানূর।

    গত ৮ নভেম্বর সাজিনার গুয়াহাটিতে আসার খবর পেয়ে পুলিশ ও গোয়েন্দারা অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। শাহানূরের ভাই জাকারিয়া আলীসহ ৫জনকে আগেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ।