বন-জঙ্গলে ভরপুর চুনারুঘাটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান

    0
    351

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২১মার্চ,শংকর শীল, হবিগঞ্জ থেকেঃ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে প্রায় ৩ শতাধিক প্রানীদের বসবাস৷ এসব প্রানীই মুলতঃ সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের সৌন্দয্যকে বাচিয়ে রাখছে৷ কিন্তু নানা কারনে ২০ প্রজাতির বন্যপ্রাণী বিলুপ্ত হতে চলেছে৷ বিলুপ্ত প্রায় এসব প্রানীদেরকে বাচিয়ে রাখার জন্য দাবী জানিয়েছেন এখানে আসা পর্যটক সহ সাধারন মানুষ৷

    সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে বর্তমানে উল্লেখযোগ্য প্রানীদের মধ্যে রয়েছে ১৪৯ প্রজাতির পাখি, ২৪ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী,১৮ প্রজাতির সরিসৃপ প্রাণী সাথে রয়েছে চিতা বাঘ, মেছো বাঘ, লজ্জাবতি বানর, মায়া হরিণ, উলুক, ময়না পাখি, ঘুঘু পাখি, টিয়া পাখি, ঈগল পাখি৷

    উল্লেখযোগ্য বন্যপ্রাণীদের মধ্যে কালের আর্বতে কিছু কিছু হারিয়ে গেছে ৷ সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের পাশের টিপড়া পল্লীর বাসিন্দাদের সাথে আলাপ কালে তারা জানায়, এক সময় ওই উদ্যান বিলুপ্ত প্রায় বন্যপ্রাণীর অভয়াশ্রম ছিল৷ এখন আর সে দৃশ্য খুব একটা দেখা যায় না৷ তারা আরও জানান, বিলুপ্ত প্রায় বন্যপ্রাণী গুলো রক্ষার জন্য বর্তমানে বন বিভাগের কোন
    উদ্যোগ চোখে পড়ে না৷

    বিলুপ্ত হওয়ার কারণ সম্পর্কে সাতছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা বলেন, জাতীয় উদ্যানের পাশের বিভিন্ন চা বাগান গুলোতে ক্ষতিকর কীটনাশক ও ওষুধ প্রয়োগ এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষনে নিরাপদ অভয়াশ্রম না থাকায় এসব বন্যপ্রাণী বিলুপ্ত হওয়ার অন্যতম কারণ৷ এছাড়া শীতকালে সাতছড়ির ৭টি ছড়ার সব ক’টিই শুকিয়ে চৌচির হয়ে যায়৷ ফলে বন্যপ্রাণীরা পানির তৃষ্ণায় দিক-বিদিক ছুটাছুটি করে৷ কখনও কখনও ওইসব গ্রামাঞ্চলে গিয়ে পুকুরে পানির তৃষ্ণা নিবারণ করতে গেলে এসব প্রাণী মানুষের কাছে ধরা পড়ে যায়৷

    সিলেট বিভাগে যে কয়টি জাতীয় উদ্যান রয়েছে এদের মধ্যে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান অন্যতম৷ বন জঙ্গলে ভরপুর এ উদ্যানে বন্যপ্রানীদের কলকাকলীতে যে কোন মানুষকে আকৃষ্ট করে তুলে৷ সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে বন্য প্রানীদের অভয়ারন্যে প্রাকৃতিক বনে যেন সৌন্দর্য্যের লিলাভূমি৷

    ২ শত ৩৪ হেক্টর সীমানা নিয়ে সাতছড়ি৷ এর পূর্ব নাম ছিল রঘুনন্দন হিল রির্জাভ ফরেষ্ট৷ ১৯৭৪ সালের বন্যপ্রানী সংরক্ষণ /সংশোধন আইন অনুযায়ী ২০০৫ সালে সাতছড়িকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষনা করা হয়৷ পুরো সাতছড়িই যেন সবুজে সমারোহ৷