আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৭ফেব্রুয়ারীঃ ভারতে মুসলিমদের অন্যতম তীর্থস্থান ফুরফুরা শরীফের উন্নয়নে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফুরফুরা শরীফ ডেভেলপমেন্ট বোর্ড গড়ার ঘোষণা করেছেন তিনি। এই বোর্ডের চেয়ারম্যান হচ্ছেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কমিটিতে থাকছেন স্থানীয় জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশীস চক্রবর্তী ও ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফুরফুরা দরবার শরীফের বর্তমান নির্দেশক পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ফুরফুরা শরীফের উন্নয়ন প্রসঙ্গে আলোচনা করেন। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের জানান, ‘শুধু ঈসালে সওয়াবের তিন দিনই নয়, ধর্মপ্রাণ মানুষজন সারা বছরই ফুরফুরা শরীফে আসেন। ধর্মীয় দিক থেকে এখানকার যথেষ্ট তাৎপর্য রয়েছে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে ফুরফুরা শরীফ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি তৈরি করা হচ্ছে।’
উন্নয়ন কমিটিতে হুগলীর জেলা প্রশাসক সঞ্জয় বনশল, হুগলীর পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী, জেলা সংখ্যালঘু দফতরের কর্মকর্তা, পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী ও তার মনোনীত তিন ব্যক্তি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালই হুগলীর জেলা প্রশাসক সঞ্জয় বনশলকে টেলিফোন করে ফুরফুরা শরীফের উন্নয়ন কাজ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দেন। যেসব জায়গায় আলো নেই, সেসব জায়গায় অবিলম্বে আলোর ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী জানান, ফুরফুরা শরীফ ছাড়াও রাজ্যের সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক তীর্থস্থান ফুরফুরা শরীফের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য এরকম একটি বিকাশ নিগম গড়ার প্রয়োজন ছিল। আশাকরি এবার এখানে উন্নয়ন কাজ ত্বরান্বিত হবে।