আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৯ডিসেম্বরঃ রাজনগর উপজেলার দক্ষিণ কারপারা গ্রামের শেখ মোঃ সেলিউর রহমান এর পুত্র শেখ মোঃ রায়হান (১৫) রাজনগর আইডিয়্যাল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। রায়হানের পাশের বাসার কাজের ছেলে যার নাম মোঃ জায়েদ আহমদ পিতা- মোঃ সাদির মিয়া, গ্রাম- উতাইসার, উপজেলা- রাজনগর, রায়হানের নিজ এলাকার পার্শ্ববর্তী গ্রামে এক মেলার অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য গত ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৫ইং রোজ- বৃহস্পতিবার রাত ৯ ঘটিকার সময় জায়েদের সাথে বাসা থেকে বের হয়ে যায়।
সেদিন রাত আর ফিরে আসা হয়নি রায়হানের। কিন্তু জায়েদ একা বাসায় ফিরে আসে। রায়হানের পরিবারের লোকজন জায়েদকে রায়হান সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে জায়েদ বলে তিনি রায়হানকে মেলায় রেখে চলে এসেছেন। পরদিন বিকাল ৩ ঘটিকায় জায়েদের পার্শ্ববর্তী গ্রাম সারমপুর থেকে রায়হানের লাশ উদ্ধার করে গ্রামবাসী।
খবর পেয়ে রায়হানের ইউনিয়ন ও পরিবারের লোকজন এবং রাজনগর থানার পুলিশ সেখানে ছুটে যান। রাজনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রায়হানের লাশ উদ্ধার করে রাজনগর থানায় নিয়ে আসে। এমতাবস্থায় রায়হানের পরিবার গভীর শোকাহত হয়ে রাজনগর থানায় জায়েদকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন, মামলা নং- ২৫/১৫।
উক্ত ঘটনার উপর ভিত্তি করে ২৭ ফেব্রুয়ারী রোজ- শুক্রবার জায়েদকে গ্রেপ্তার করেন রাজনগর থানার এস,আই সুজিত রায়। জায়েদের সাথে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত বলে ভিত্তি করে একজন ট্যাক্সি ড্রাইভারকে গ্রেপ্তার করা হয় তার নাম মোঃ রুবেল আহমদ গ্রাম- উচাইসার, উপজেলা- রাজনগর, কিন্তু কিছুদিন পর জায়েদ নিজ মুখে স্বীকারউক্তি দেন যে, রায়হানকে হত্যা তিনি একা করেছেন তাহার সাথে আর কেউ জড়িত ছিলেন না। এরি কথা উপেক্ষা করে মৌলভীবাজার জেলা আদালত থেকে ৩ মাস পর রুবেলকে জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ইং রায়হান হত্যার বিচার কাজ এর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। দীর্ঘ ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও আজও বিচার কাজ সুনির্দিষ্টভাবে শেষ হয়নি। রায়হানের হত্যায় শোকাহত হয়ে মৌলভীবাজার জেলা সহ মৌলভীবাজার জেলার প্রত্যেকটি উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক জোট এবং আম জনতা মানববন্ধন করেন। দ্রুত আইনি বিচার কাজ সম্পন্ন করার জন্য মাননীয় রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন করে রায়হানের পিতা-মাতা এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক ম-লী এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ ও এলাকাবাসী।
তারা আরো বলেন সিলেটে রাজন হত্যা মামলার যেভাবে দ্রুত বিচার হয়েছে ঠিক সেভাবেই দ্রুত বিচারের দাবী জানিয়ে এবং সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানান। (চলমান)