পয়লা বৈশাখ উদযাপনে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা ডিএমপি’র

    0
    248
    আমারসিলেট24ডটকম,১২এপ্রিলঃ রাজধানী ঢাকাতে বাংলা নববর্ষের  পয়লা বৈশাখ উদযাপনে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। একই সঙ্গে  উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষের  অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা  দেয়া হয়েছে।শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠান পালনে নগরবাসীর সহায়তা চেয়েছেন ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ।শনিবার  রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে  এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডিএমপির কমিশনার বেনজীর আহমেদ । বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে নেওয়া নিরাপত্তাব্যবস্থা সম্পর্কে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।বেনজীর আহমেদ বলেন, দৃশ্যমান-অদৃশ্যমান সব ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে সামর্থ্যের সর্বোচ্চ দিয়ে নাগরিকদের জন্য নিরাপত্তাব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। তিনি বলেন, বৈশাখী উৎসবকে কেন্দ্র করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
    এই বাংলা নব-বর্ষবরণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নগরবাসী আগের মত এবারও সহযোগিতা করবেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন,বৈশাখী উৎসব বাঙালির দেশীয় সংস্কৃতির প্রাণের উৎসব, এ সময় রাজধানীর কোথাও দেশীয় সংস্কৃতিবিরোধী কর্মকাণ্ড করতে দেওয়া হবে না। জঙ্গি তৎপরতা মনিটরিং করা হবে। ২টি ইউনিটসহ গোয়েন্দারা জঙ্গিদের তৎপরতা প্রতিনিয়ত মনিটরিং করবে।নিরাপত্তা ব্যবস্থা  তুলে ধরে তিনি বলেন, অনুষ্ঠানস্থলে অনুষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তা সিসি ক্যামেরা দ্বারা সার্বক্ষণিক মনিটর করা হবে। বর্ষবরণের কেন্দ্রস্থল রমনা বটমূল, টিএসসি ও এর আশপাশের এলাকায় সন্দেহজনক কোন সরঞ্জাম, বস্তু, ব্যাগ, অস্ত্র, ছুরি,কাঁচি, পটকা বা দাহ্য পদার্থ, ক্ষয়কারী তরল, ব্লেড, নেইল কাটার, দিয়াশলাই, গ্যাসলাইটার সাথে বহন করা যাবেনা।  অনুষ্ঠানস্থলে প্রকাশ্য স্থানে ধূমপান না করার জন্য অনুরোধ করা জানানো হয়।একইভাবে অনুষ্ঠান এলাকায় কোনো সন্দেহজনক দ্রব্যাদি পাওয়া গেলে তা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কন্ট্রোল রুম, সাব-কন্ট্রোল রুম অথবা শাহবাগ থানাকে জানানোর কথা বলা হয়।সঙ্গে থাকা শিশুদের পকেটে ঠিকানা রাখার অনুরোধ করেছেন ডিএমপি কমিশনার।উৎসব নির্বিঘ্ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীর ২২টি জায়গায় ব্যারিকেড (প্রতিবন্ধকতা) দেওয়া হবে। ১০টির মধ্যে ৬ টি পথ দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করা যাবে। ৪ টি দিয়ে বের হতে হবে, বললেন ডিএমপি কমিশনার।এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল জলিল মণ্ডল, মিলি বিশ্বাস, ইব্রাহিম ফাতেমি, মারুফ হাসান যুগ্ম কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান, মনিরুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।