প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুপুরে পুষ্টিকর খাবার দিচ্ছে ‘জেবিসিইএ’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থা

    0
    222

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৮মে,এম ওসমানঃ যশোরের শার্শা উপজেলায় ৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের জন্য দুপুরের খাবারের একটি প্রকল্প চালু করেছে একটি বেসরকারি সংস্থা। ওই বিদ্যলয়গুলোর ছেলে-মেয়েদের দুপুরে খাওয়ার জন্য বাড়ি যেতে হয় না। সঙ্গে করেও দুপুরের খাবার নিয়েও আসতে হয় না। বিরতিতে বিদ্যালয়ে বসেই খাবার পায় তারা।

    গত চার বছর ধরে পর্যায়ক্রমে উপজেলার চারটি বিদ্যালয়ে প্রকল্পটি চালিয়ে যাচ্ছে জাপান বাংলাদেশ কালচারাল এক্সচেঞ্জ অ্যাসোসিয়েশন (জেবিসিইএ) নামের সংস্থাটি।

    ‘মডেল স্কুল লাঞ্চ’ নামের এই প্রকল্পের অধীনে সপ্তাহে পাঁচদিন খাবার দেওয়া হয়। এর মধ্যে তিন দিন সয়া খিচুড়ি, এক দিন সয়াভাত ও তরকারি এবং এক দিন সয়া পাউরুটি ও দুধ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ছুটি হয় বলে দেওয়া হয় না। শুক্রবার বিদ্যালয় বন্ধ থাকে।

    জেবিসিইএ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর আনিসুর রহমান আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, ‘মডেল স্কুল লাঞ্চ’ প্রকল্প ২০১২ সালে পরীক্ষামূলক ভাবে শার্শা উপজেলার নটাদিঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুরু করা হয়।

    তখন থেকেই এই বিদ্যালয়ের ২শ’ ৩৫ জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে সপ্তাহে পাঁচদিন সয়াবিনযুক্ত পুষ্টিকর দুপুরের গরম খাবার সরবরাহ করা হয়।

    পর্যায়ক্রমে ২০১১ সালে বাহাদুরপুর ইউনিয়নের সর্বাংহুদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২শ’ ২৯ জন ছাত্র-ছাত্রী, ২০১২ সালে ডিহি ইউনিয়নের ডিহি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২শ’ ২১ জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে এবং ২০১৫ সালে উলাশী ইউনিয়নের যদুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১শ’ ৭১ জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে এ কার্যক্রম চালু হয় বলে তিনি জানান।

    প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পর্কে আনিসুর রহমান বলেন, তিন থেকে চার বছর শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবারের জন্য মোট খরচের ৯৫ শতাংশ বহন করে জেবিসিইএ। এছাড়া যেসব বিদ্যালয়ে প্রকল্প চালু করা হয় সেখানে একটি রান্নাঘর ও রান্নার সরঞ্জাম দেওয়া হয় সংস্থার পক্ষ থেকে। খরচের বাকি ৫ শতাংশ স্থানীয় ভাবে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি ব্যবস্থা করে থাকে বলে তিনি জানান।

    জেবিসিইএ এর জাপানের প্রতিনিধি মিসেস তোমোকো মাসমোতো আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন, এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে যাতে স্থানীয়রা কাজটি চালিয়ে যেতে পারে সেজন্য তাদের মধ্য থেকে ৭জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

    “ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এ কর্মকান্ডের আওতায় প্রতিটি বিদ্যালয়ে একটি ব্যাংক একাউন্ট খোলা হয়। মাস শেষে অতিরিক্ত পয়সা ওই একাউন্টে জমা রাখা হয়।”

    শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম শরিফুল আলম বলেন, উপজেলার ৪টি স্কুলের ১ হাজার ১শ’২০ জন শিক্ষার্থী মডেল স্কুল লাঞ্চ প্রকল্পের আওতায় এসেছে। এতে স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার বাড়ছে। ঝরে পড়ার হারও কমছে।

    আরও ৩০টি স্কুলে এ কার্যক্রম চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জেবিসিইএ প্রতিনিধিরা তাকে জানিয়েছেন বলে জানান ইউএও।