প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছেন ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত ইয়াকুব

    0
    244

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২২জুলাইঃ ভারতের মুম্বাইয়ে ১৯৯৩ সালে ধারাবাহিক বোমা হামলার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত ইয়াকুব মেমন প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছেন। এর আগে প্রেসিডেন্টের কাছে তার প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিল তার ভাই সুলেমান মেমন। প্রেসিডেন্ট সেই আবেদনে সাড়া না দিয়ে তা খারিজ করে দেন। এবার অবশ্য ইয়াকুব মেমন নিজেই  প্রেসিডেন্টের কাছে চিঠি লিখে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছেন।

    মেমন তার আবেদনপত্র নাগপুর কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছেন। কারাগার কর্তৃপক্ষ ওই আবেদন মহারাষ্ট্রের গভর্নর সি বিদ্যাসাগর রাওয়ের কাছে পাঠাবেন। সেখান থেকে স্বরাষ্ট্রদফতর হয়ে ওই আবেদন প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো হবে।

    সংবিধান বিশেষজ্ঞ সুভাষ কশ্যপ এবং দিল্লি হাইকোর্ট বার এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট রাজীব খোসলা অবশ্য বলছেন, এ ধরণের আবেদন করা হলেও তাতে কোনো লাভ হবে না মেমনের।

    গতকাল ২১ জুলাই ইয়াকুব মেমনের মৃত্যুদণ্ড সংশোধনের আর্জি (কিউরেটিভ পিটিশন) খারিজ হওয়ার পরেই ইয়াকুব মেমন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে আবেদন করেছেন। এরফলে ইয়াকুব মেমনের ৩০ জুলাই নির্ধারিত দিনে ফাঁসি না হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।

    নিয়ম অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট যদি ক্ষমা প্রার্থনার দাবি বাতিল করেও দেন, তাহলেও নির্ধারিত দিনে ফাঁসি দেয়া সম্ভব হবে না। কারণ, সর্বশেষ ক্ষমাপ্রার্থনা খারিজ হওয়ার পর থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত অবসর দেয়ার নিয়ম রয়েছে। প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে ফাঁসি কার্যকর করা যায় না।

    এদিকে, আগামী ৩০ জুলাই নাগপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে ৫৩ বছর বয়সী এক সময়ের চার্টার্ড একাউন্টেন্ট ইয়াকুব মেমনের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার কথা। সেই লক্ষ্যে নাগপুর কারাগারের তিন কনস্টেবলকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে কারাগার কর্তৃপক্ষ। ফাঁসি  কার্যকর করতে হলে যে সব নিয়মকানুন মানতে হয় সেসব শেখানো হচ্ছে তাদের।  ২৭/২৮ জুলাই আসামীর সমান ওজনের একটি বস্তা নিয়ে ফাঁসির মহড়াও দেয়া হবে। যদিও তিনজনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হলেও একজনই ফাঁসি কার্যকর করবেন। সেই দায়িত্ব কে পাবেন তা অবশ্য এখনো স্পষ্ট হয়নি।

    ১৯৯৩তে মুম্বাইতে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় টাডা আদালত ২০০৭ সালের ২৭ জুলাই ইয়াকুব মেমনকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করে। এই রায়ের বিরুদ্ধে বোম্বে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিমকোর্টে সাজা মওকুফের আবেদন গ্রাহ্য হয়নি। পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখোপাধ্যায় এবং সর্বশেষে সুপ্রিম কোর্টে তার কিউরেটিভ পিটিশন খারিজ হয়ে যায়। এবার নতুন করে শেষ প্রচেষ্টা হিসেবে প্রেসিডেন্টের কাছে নিজেই প্রাণভিক্ষার আবেদন জানালেন ইয়াকুব মেমন।ইরনা