আমারসিলেট24ডটকম,২৭মার্চঃ আশুলিয়ার কুড়গাও এলাকার প্রিয়া মেডিকেল সেন্টারের বিল পরিশোধ করতে না পারায় এক মায়ের কোল খালি করে নবজাতক বিক্রি করে দেয়ার ২দিন পরা মিরপুর এলাকা থেকে থানা পুলিশ নবজাতকটিকে উদ্ধার করেছে। গতকাল বুধবার সন্ধার দিকে রাজধানী মিরপুর সংলগ্ন এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করেছে আশুলিয়া থানার পুলিশ। আটককৃত দের আদালতে প্রেরণ করে ৭দিনের জন্য রিমান্ড চাওয়া হয়। পরে আদালত তাদের ১দিনের রিমান্ড দেন।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুর মোহাম্মদ জানায়, গত সোমবার সকালের দিকে আশুলিয়া নিরিবিল এলাকার দিনমজুর লাভলুর স্ত্রীর মুন্নির প্রসব ব্যাথা উঠলে পাশ্ববর্তী প্রিয়া মেডিকেল সেন্টারে নেয়া হয়। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই মুন্নীর ছেলে সন্তান প্রসব হয়। এরপরেই হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিতে দাবি করা হয় ৮ হাজার টাকা। টাকা দিতে না পারায় হাসপাতালের মালিক আলাউদ্দিন, মার্কেটিংয়ের নিলাসহ অন্যান্যরা মিলে মুন্নিকে মানসিক অত্যাচার করতে থাকে। এ সময় মুন্নির কাছে থাকা ৫২০ টাকা দেয়া হয় মালিক আলাউদ্দিনের কাছে। মুন্নির স্বামী এসে আরো ৪ হাজার টাকা দেন আলাউদ্দিন ও নিলার কাছে। কিন্তু বাকি টাকা দিতে না পাড়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মায়ের কোল থেকে নবজাতককে কেঁড়ে নিয়ে সাদা দলিলে মুন্নির স্বাক্ষর রেখে হাসপাতাল থেকে মুন্নিকে বের করে দেয়। এরপরই ভুক্তভোগী মুন্নি জোড়পূর্বক বাচ্চা রেখে অন্যত্র বিক্রির অভিযোগ তুলেন। এই ঘটনায় সোমবার রাতে থানায় একটি মামলা দয়ের করা হলে থানা পুলিশ ঘটনার সাথে প্রাথমিকভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে হাসপাতালের মালিকসহ ৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের উপর ভিত্তি করে রাজধানী ঢাকার মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে নবজাতকটিকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ও এই ঘটনায় জড়িত থাকার আপরাধে আরও ৩জনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, কুড়গাঁও এলাকার মৃত মালেকের ছেলে ওই ক্লিনিকের মালিক আলাউদ্দিন (৩৪), বাবুল হোসেনের স্ত্রী নীলা (১৮), ও আবদুল আজিজের স্ত্রী খোদেজা বেগম (৪৫),কে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন পুলিশ।