প্রসঙ্গঃ”বনপা” নিরবতা মানে নিরপেক্ষতা নয়

    0
    258

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২০সেপ্টেম্বর,সুভাষ সাহা: দুই পক্ষের রক্তাক্ত যুদ্ধের সময় সংশ্লিষ্ট তৃতিয় পক্ষের নিশ্চুপ থাকা বা হাত-পা গুটিয়ে রাখার পরিণাম কী ভয়াবহ হতে পারে তা হয়তো অনেকেরই জানা! নিরপেক্ষতার নামে জীবন্ত মানুষ পুড়ে ছাই হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত উদ্ধারে এগিয়ে না যাওয়ার মতো দৃষ্টান্তও এ দেশে কম নেই। পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা প্রবীর সিকদারকে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় গ্রেফতারের পর হাতকড়া পড়িয়ে জেলে ঢুকানোর পর সাংবাদিকগণ প্রতিবাদে সোচ্চার না হলে পরিণতি কী হতো বলার অপেক্ষা রাখে না। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সামাজিক গণমাধ্যমে একটি বিতর্কিত স্ট্যাটাস দেয়ার অপরাধে প্রবীর সিকদার গ্রেফতার হয়েছিলেন। ওই স্ট্যাটাসটির পক্ষে বিপক্ষে মতামত থাকতেই পারে। তবে, আমাদের বির্তক শুধু প্রবীর সিকদারের গ্রেফতার প্রক্রিয়া এবং হাতকড়া নিয়ে। এখানে আমরা একটি পক্ষ নিয়েছি। পক্ষটি হচ্ছে- অস্বচ্ছ একটি প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে। একজন অসহায় মানুষের পক্ষে, বিবেকের পক্ষে। বিবেক যেখানে আমরাও সেখানে। যে কারণে উপরোক্ত ভূমিকার অবতারণা তা হচ্ছে বহুল আলোচিত- বাংলাদেশ অনলাইন নিউজপোর্টাল এসোসিয়েশন-বনপা।

    বনপা’র সাবেক সভাপতি শাসুল আলম স্বপন গত ২১ আগষ্ট সাধারণ সভায় আজীবন সভাপতি থাকার প্রস্তাব দিয়ে নিন্দিত হয়েছেন। ইতোমধ্যে জল অনেক ঘোলা হয়েছে। স্বপনের বিরুদ্ধে ২০টি ফৌজদারি মামলার মধ্যে ৪টির চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে বলে কুষ্টিয়া সদর থানা সূত্রে জানা গেছে।

    রাজধানীর মিরপুর, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহে হত্যা, নারী ও শিশু নির্যাতন, প্রতারণা এবং চাদাঁবাজিসহ বিভিন্ন ধারায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে। এরমধ্যে কুষ্টিয়া সদর থানায় একটি হত্যা মামলাও রয়েছে। কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা রয়েছে।

    মামলাগুলোর কয়েকটি হচ্ছে- সিরাজগঞ্জ থানায় মামলা নং-০১(০১)৯০, কুষ্টিয়া সদর থানার মামলা নং-০২(০৫)২০০০, ০৫(১২)৯৫, ০৬(০৩)০৫, ২৩(০৪)০৫, ৩৮(০৪)০৫, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার মামলা নং-০৬(০৫)০৫, ঝিনাইদহ থানার মামলা নং-২৬(০১)০২, রাজধানীর মিরপুর থানার মামলা নং-০৭(০৭)০৫।

    কুষ্টিয়া থেকে বিতাড়িত শামসুল আলম স্বপন অজ্ঞাত স্থানে বসে তার পরিচালিত একটি ওয়েবসাইটে কথায় কথায় বনপা’র দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কথিত বহিস্কার করে তামাশার সৃষ্টি করে চলেছেন। ইতোমধ্যে অনেকেই স্বপনের এসব তামাশার নিন্দা জানিয়ে আমাকে বনপার হাল ধরার দায়িত্ব দিয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমার নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর বনপা’র প্রতিষ্ঠাতা প্রধান উপদেষ্টা মোস্তাফা জব্বারের সঙ্গে সাক্ষাত করি। মোস্তাফা জব্বার দৃঢ়কণ্ঠে বলেন, বনপাকে ঐক্যবদ্ধ করে এগিয়ে নিতে হলে বনপাকে ফৌজদারী মামলার আসামীমুক্ত রাখতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। পবিত্র ঈদুল আযহার পর মোস্তাফা জব্বারের উপস্থিতিতে একটি সাধারণ সভা আয়োজন করার উদ্যোগ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আর নিরব নয়। একটি পক্ষ আপনাকে নিতেই হবে। ন্যায়কে গ্রহণ করুন, অন্যায়কে বর্জন করুন এই আমাদের প্রত্যাশা।