প্রবাসী স্বামীর পরিকল্পনায় স্ত্রীর লাশ ৮০ফুট মাটির নিচে

    0
    213

    আমারসিলেট24ডটকম,০৭মার্চঃ দুর্বৃত্তরা দুবাই প্রবাসী স্বামীর পরিকল্পনা মতো ২ লাখ টাকার বিনিময়ে শাহিনা আক্তার (৩৩) নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করে ৮০ ফুট মাটির নিচে পুঁতে রাখে। আজ শুক্রবার সকালে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের ছেছড়াপুকুরিয়া গ্রামে শ্বশুর বাড়ির টিউবওয়েলের পাইপের নিচে শাহিনার লাশ রয়েছে বলে পুলিশ জানতে পারে। এরপর থেকেই লাশ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তবে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত লাশটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নিহত শাহিনা আক্তার উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের তুলাগাঁওয়ের বাসিন্দা ও ছেছড়াপুকুরিয়া গ্রামের দুবাই প্রবাসী মোঃ সোলায়মানের স্ত্রী। তার দুটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ নিহত শাহিনার স্বামী সোলায়মানের বন্ধু প্রতিবেশী করিম নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে।
    এদিকে নিহত শাহিনার বড় ভাই মুজিবুর রহমানের সুত্রে জানা যায়, শাহিনা শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এর দুদিন পর  আমি এ ব্যাপারে দেবিদ্বার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। এতেও তার কোন খোঁজ না পেয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার আদালতে একটি গুমের মামলা  দায়ের করি। ওই মামলার তদন্তের সূত্র ধরে আজ শুক্রবার সকালে সন্দেহভাজন হিসাবে শাহিনার স্বামীর বন্ধু  করিমকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে করিম জানায় শাহিনাকে হত্যা করে লাশ টিউবওয়েলের পাইপের নিচে পুঁতে রাখা হয়েছে। এরপর থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
    অন্যদিকে আটক করিমের বরাত দিয়ে দেবিদ্বার থানার উপপরিদর্শক মোঃ শাহজাহানের   সুত্রে জানা যায়, এ হত্যাকাণ্ডে করিমসহ ৪ জন অংশ নেয়। এদের মধ্যে করিমকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে। আটক করিম স্বীকার করেছেন যে তিনিসহ ৪ জন সোলায়মানের পরিকল্পনায় ২ লাখ টাকার বিনিময়ে শাহিনাকে হত্যা করে।
    স্থানীয় সূত্রগুলো থেকে  জানা যায়, গত ৬ মাস ধরেই প্রবাসী সোলায়মান শাহিনাকে তালাক দেয়ার চেষ্টা করে আসছে। ৩ মাস আগে এ নিয়ে কয়েকটি  সালিশ হয়। এতে সিদ্ধান্ত হয় শাহিনা তার সন্তানদের নিয়ে শ্বশুরবাড়িতেই থাকবেন। আর সালায়মান তাকে প্রতি মাসে সংসার খরচ বাবদ ৪ হাজার টাকা দেবেন। কিন্তু সোলায়মান এক মাস টাকা দিয়ে পরের মাস থেকে টাকা দেয়া বন্ধ করে দেয়। এসব নিয়ে এ দম্পত্তির মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল। তবে এ হত্যা কাণ্ডের পিছনে পরকীয়ার জের রয়েছে বলে কেউ কেউ সন্দেহ পোষণ করছেন।