প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দাবী নির্বাচন সুষ্ঠ হয়েছে

    0
    261

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৮এপ্রিল: ৩ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সুষ্ঠ হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

    রকিব উদ্দিন বলেন, “আমি নিজে দুটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। এছাড়া টেলিভিশন, রেডিও এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। তিন সিটির প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্রে ব্যাপক ভোটারের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোট শেষ হয়েছে। এখন ভোট গণনা চলছে।”
    এ সময় সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচনে সহযোগিতার জন্য সাধারণ ভোটার ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ঠ সকলকে ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে সকল প্রার্থীকে ফলাফল মেনে নিয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষার আহ্বানও জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

    রকিব উদ্দিন বলেন, “আমি যে কেন্দ্রে গিয়েছি সেখানে নিজে পোলিং এজেন্ট ও ভোটারদের কাছে জানতে চেয়েছি। তারা আমাকে বলেছে তারা কোন ধরনের ভয়ভীতির সম্মুখিন হননি। কেউ তাদের কেন্দ্রে আসতে বাধা প্রদান করেনি।”

    তিনি বলেন, “কতিপয় ভোটকেন্দ্রে অনভিপ্রেত ঘটনার খবর আমাদের কাছে এসেছে। তার মধ্যে দক্ষিণের ৮ নং ওয়ার্ডের কমলাপুর রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়, ৩৪ নং ওয়ার্ডের  সুরিটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৫৩ নং ওয়ার্ডের আশরাফ মাস্টার উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। সেখানে রিটার্নিং কর্মকর্তারা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়ে ভোট গ্রহণ স্থগিত করেছেন। এছাড়া এত বড় একটি নির্বাচন অথচ কোথাও বড় ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।”

    যেখানে ঘটেছে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে নিয়মানুযায়ী ফের ভোট গ্রহণ শুরু করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “নির্বাচনের পরও সহিংসতার বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত থাকবে। সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

    এ সময় তিনি বলেন, “নির্বাচন সংশ্লিষ্ট এলাকায় সহিংসতা এড়াতে আরো একদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে। যেহেতু নির্বাচনের পরও হামলা হয়ে থাকে তাই তাদের সজাগ ও সতর্ক থাকার জন্য তাদের নির্দেশ দিচ্ছি।”

    তবে জোনায়েদ সাকির চিঠির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্শন করলে তিনি বলেন, “সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে ফ্যাক্স ও সরাসরি হাতে লেখা অভিযোগ আসছে। সেগুলো আমরা পর্যালোচনা করছি। তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

    তবে সিইসির কাছে কোন প্রার্থী বা কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। করলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হতো যোগ করেন তিনি।

    সাংবাদিকদের সঠিক ভাবে কাজ করতে দেয়া হয়নি এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা সকালেই এই অভিযোগ পেয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি। পাশাপাশি তাদের নির্দেশনা পড়ে শুনিয়েছি। তবে এক সঙ্গে অনেক লোক ভিড় করলে নির্বাচনী কার্যক্রম ব্যহত হয় তাই তবে অনেক লোক এক সঙ্গে যেতে পারবে না।”

    সেনাবাহিনী ডাকার বিষয়ে তিনি বলেন, “কেন্দ্র বন্ধ হওয়া এবং সেনাবাহিনী ডাকার ভেতরে অনেক পার্থক্য আছে। যদি নিয়মিত আইন শৃঙ্খলাবাহিনী নির্বাচনী সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারে, তখন সেনাবাহিনী নামানো হয়। আজ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল বলে সেনাবাহিনী ডাকা হয়নি।”

    নির্বাচনে মিডিয়াকর্মীদের বিভিন্নভাবে বাধা ও হয়রানি করা হয়েছে এমন অভিযোগের বিষয়ে কাজী রকিবউদ্দীন বলেন, “কারা আপনাদের বাধা দিয়েছে। তাদের নাম বা পরিচয় দেন। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।”

    নির্বাচনে ভোট জালিয়াতিসহ বিভিন্ন ঘটনার পরও কেন সেনাবাহিনী নামানো হল না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “যদি সেখানে দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত থাকেন তারা যদি বলেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। কেমনমাত্র তখনই সেনাবাহিনীকে ডাকা হবে।”
    তবে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের বিষয়ে হেসে তিনি বলেন, “এটা কোনো রাজনৈতিক নির্বাচন নয়।”

    গণমাধ্যমে সারাদিন অনেক অনিয়ম প্রকাশ পায়, সুষ্ঠু নির্বাচন কিভাবে হলো- এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান সিইসি।