প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

    0
    231

    আমারসিলেট 24ডটকম,০২অক্টোবর:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের ৩১তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প “রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের” ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন। তিনি আজ বুধবার বুধবার বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে  তিনি এ উদ্বোধন করেন। এর আগে বেলা ১১টায় ০২ মিনিটে হেলিকপ্টারযোগে পাবনায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । বিকেলে একই এলাকায় পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন তিনি। রূপুপর বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংলগ্ন মাঠ থেকে পর্যায়ক্রমে প্রধানমন্ত্রী জেলার ৩০টি উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করবেন। এর মধ্যে ৬টির উদ্বোধন ও ২৪টি কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯ বছরের ব্যবধানে পঞ্চমবারের মতো পাবনায় আসলেন। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিবসহ উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা গিয়েছেন। একইসঙ্গে রাশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বর্তমান জ্বালানি মন্ত্রী, রাশিয়ান পারমাণবিক সংস্থা রোসাটমের ডিজি ও বিভিন্ন পর্যায়ের ৪১ সদস্যের একটি দল অনুষ্ঠানে থাকবেন বলে জানা গেছে।
    প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি থেকে পাওয়া তথ্যে জানা  যায়, বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পশ্চিম মাঠে ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র’ নির্মাণ (প্রথম পর্যায়) কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। রাশিয়ার সহযোগিতায় ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন এই বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাবনা জেলায় ৬টি উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন এবং ১৮টি উন্নয়নমূলক কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেনবলে ও জানা যায় । এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ১টি কলেজ, ১টি স্কুল, ৩টি মাদ্রাসার উন্নয়ণ কাজ এবং ১টি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উদ্বোধন। এছাড়াও ১০টি কলেজ, ৪টি স্কুল, ২টি মাদ্রাসা এবং পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি।
    প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর পদ্মা নদীর তীরে ২৬৬ একর জমির উপর এই প্রকল্পটির প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে আজ বুধবার। ‘সেফটি ফাষ্ট এন্ড সেফটি লাষ্ট’ এই চিন্তা মাথায় রেখে সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্তভাবে দেশে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে। এই প্রকল্প ব্যয়ের ৯০ শতাংশ দেবে রাশিয়া, বাকী ১০ শতাংশ দেশের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হবে। রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় বিশ্বের সর্বাধুনিক থ্রীজি প্রযুক্তি ব্যবহার এবং ৫ স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হবে। এই প্রকল্পের জন্য রূপপুর তথা প্রকল্প এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৬৩ রকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। প্রকল্প এলাকায় ‘পাবলিক কাউন্সিল’ গঠন এবং ঢাকা ও রূপপুরে তথ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হবে।