প্রতিমা বিসর্জনে শেষ হলো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা

    0
    748

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৩০সেপ্টেম্বর,সাদিক আহমেদ ইমন,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ   সারা দেশের ন্যায় শ্রীমঙ্গলেও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে শেষ হলো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা।

    আজ  শনিবার বিজয়া দশমীর মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্টান শারদীয় দুর্গাপূজা।কৃপারূপে মর্ত্যে অবতারণী দেবী দুর্গা আজ ফিরে যাবেন কৈলাশে।হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস প্রতিবছর দেবী দুর্গা অশুর রূপী অশুভ শক্তির বিনাশ করতে পৃথিবীতে আগমন করেন এবং পৃথিবীতে শান্তি অবতারণ করে বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে ফিরে যান কৈলাশে।

    গতকাল শুক্রবার ছিল মহানবমী।নবমীর প্রধান আকর্ষণ ছিল মন্ডপে মন্ডপে আরতি প্রতিযোগীতা।আর আজ ছিল বিজয়া দশমী।সকাল ৯টা ২৬মিনিটের আগে শেষ হয় দশমী বিহিত পূজা ও দর্পন বিসর্জন।দুপুরে শুরু হয় বিজয়া শোভাযাত্রা।বিজয়া শোভাযাত্রার প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক চীফ হুইফ,সাংসদ,আলহাজ্ব উপাধ্যক্ষ মো: আব্দুস শহীদ। শ্রীমঙ্গল সার্বজনীন দুর্গাবাড়িতে সম্মিলিত বাদ্য বাজনা,মন্ত্র উচ্চারণ ও পূজা-অর্চনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ ধর্মীয় শোভা যাত্রা।

    বিসর্জন শোভা যাত্রার প্রথমেই ছিল শ্রীমঙ্গল সার্বজনীন দুর্গাবাড়ি,ক্রমান্বয়ে ছিলো রামকৃষ্ণ মিশন ও তারপর ছিলো শ্রীমঙ্গলেশ্বরী কালিবাড়ির প্রতিমা।তার পরে উপস্থিতি অনুসারে ছিলো অন্যান্য প্রতিমাগুলো। বিভিন মন্ডপের দুর্গা প্রতিমা গুলো শোভাযাত্রা করা হয় পুরো শ্রীমঙ্গল শহরে।প্রথমে প্রতিমা গুলো শোভাযাত্রা করা হয় শ্রীমঙ্গল স্টেশন রোডে।তারপর যথাক্রমে হবিগঞ্জ রোড,মৌলভীবাজার রোড প্রদক্ষিণ করে শোভাযাত্রাটি।

    বিকাল ৫ টায় শ্রীমঙ্গলের প্রধান সরক গুলো প্রদক্ষিণ করে ফিরে যায় স্ব স্ব মন্ডপে। সেখানেই স্থানীয় পুকুর, দিঘিতে দেয়া হয় প্রতিমা বিসর্জন।তাদের বিশ্বাস মতে ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার মহালয়ার মধ্য দিয়ে মর্তালোকে এসেছিলেন দুর্গতি নাশিনী দেবী দুর্গা।

    জানা যায়,এবছর শ্রীমঙ্গলে ১৬৬ টি মন্ডপে অনুষ্টিত শারদীয় দুর্গাপূজা।হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতে,দেবী এবার নৌকায় চড়ে এসেছিলেন পিত্রালয়ে এবং ঘোড়ায় চড়ে ফিরে গেলেন কৈলাশে। এদিকে প্রতিমা বিসর্জন ও বিজয়া শোভাযাত্রার শুরুর ফলে শ্রীমঙ্গলে দেখা দেয় বিশাল যানজটের এতে প্রায় ৩ ঘণ্টারও অধিক যাত্রীদের পোহাতে হয় অবণর্নিয় দুর্ভোগ।

    এদিকে বিজয়া শোভাযাত্রাকে সফল করার জন্য প্রশাসনের ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো।অনাকাঙ্ক্ষিত যেন কোন ঘটনা না ঘটে সেজন্য রাস্তায় ছিল পুলিশি টহল ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। তা ছাড়া স্থানিয়দেরও সহযোগিতার কমতি ছিলনা।