পোকা প্রতিরোধী বেগুন আবিস্কারঃ সম্ভাবনার বাংলাদেশ

    0
    270

    আমারসিলেট24ডটকম,০২মার্চ,হোমায়রা সুলতানা শান্তাঃ চর্বি বিহিন সুস্বাদু সবজি বেগুন ।এটি সারাবছর চাষ করা যায় ।তাই এই জনপ্রিয় সবজি যেমন সারাবছর তরকারীর চাহিদা মেটায় তেমনি এটি কৃষকের অর্থ উপার্জনের একটি গুরুত্ব পুর্ন উৎস।বাংলাদেশে ৬৮২০৮ হেক্টর জমিতে প্রতি বছর ৩৮১৪২০ মেট্রিকটন বেগুন উৎপন্ন হয়। (BBS2004) যা দেশের মোট আবাদি জমির প্রায় ২৫.৪% ।অথচ ডগা   ও ফল ছিদ্র কারী পোকার কারনে এ সব্জির একটা বড় অংশ নষ্ট হয়ে যায় । শুধু বাংলাদেশ নয় দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বেগুন প্রায়ই ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা দ্বারা আক্রান্ত হতে দেখা যায়। এ পোকার ছোট ছোট কীরা বেগুন গাছের কচি ডগা ছিদ্র করে ভিতরে প্রবেশ করে এবং খেয়ে ফেলে। ফলে ডগা শুকিয়ে  তা নেতিয়ে পড়ে। কীরা(পোকা) গুলো কচি এবং বাড়ন্ত বেগুন ছিদ্র করে ভিতরের নরম শাঁস খায়। সাধারণত চারা অবস্থায় এ পোকার আক্রমণ শুরু হয় এবং ফল সংগ্রহ করা পর্যন্ত আক্রমণ দেখা যায়।এ পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কৃষকরা মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক স্প্রে করে থাকেন। যা মানুষের স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। এ কারণে এবিএসপি-২ এর বিজ্ঞানী ও অর্থনীতিবিদরা ওইসব কীরা (পোকা)প্রতিরোধকারী (এসএফবিআর) বেগুনের জাত চাষের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেন। এসএফবিআর বেগুন গাছ হলো এমন একটি কৌলিতাত্তি্বকভাবে পরিবর্তিত বৈশিষ্ট্য সমপন্ন বেগুন গাছ, যার ভিতর নিজস্ব এসএফবি প্রতিরোধী বিটি জিন জৈব প্রযুক্তির মাধ্যমে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ৯টি জাতে ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা প্রতিরোধী বেগুন জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। এসএফবিআর বেগুন চাষ করলে পোকাহীন বেগুনের ফলন বাড়বে এবং কীটনাশক ব্যবহারের ব্যয় কমবে তাতে কৃষকের আয়ও বাড়বে। এসএফবিআর বেগুন চাষ পরিবেশবান্ধব। এ দেশের প্রধান প্রধান বেগুন আবাদি জেলাগুলো হলো বগুড়া, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ঢাকা, দিনাজপুর, ফরিদপুর, জামালপুর, যশোর, খাগড়াছড়ি, খুলনা, ময়মনসিংহ, রাঙামাটি, রংপুর, রাজশাহী, সিলেট এবং টাঙ্গাইল।শীগ্রই জৈব প্রযুক্তিতে উদ্ভাবনকৃত এ বেগুন জাত মুক্তায়ন করা হবে ।এ জাতের বেগুন উৎপাদন শুরু হলে ক্রেতা যেমন নির্বিগ্নে বেগুন কিনতে পারবে তেমনি ব্যাবসায়ী এবং ক্রেতা উভয়েই লাভবান হবে ।পাশা পাশি   স্বাস্হ  পরিবেশ হবে বিষের প্রভাব মুক্ত।

    এ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন যৌথ ভাবে  বিএআরআই এর   জীব প্রজুক্তি বিভাগ,সব্জি বিভাগ ও কীট তত্ত্ব বিভাগের বিজ্ঞানীগন। সম্প্রতি ইন্সটিটিউটের উদ্ভিদ কৌলি সমপদ কেন্দ্রের সেমিনার কক্ষে জীব প্রযুক্তি বিভাগের অর্থায়নে বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা প্রতিরোধী বিটি বেগুনের গবেষণা কার্যক্রমের মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় বিজ্ঞানীরা ওইসব তথ্য জানান, তবে এতে সফল হলেই সম্ভাবনার বাংলাদেশে কৃষকের প্রবেশ ঘটবে।