পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা

    0
    229

    আমার সিলেট  24 ডটকম,০৮নভেম্বরঃ কোন প্রকার কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি প্রমাণিত হলে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে সরকার।বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সচিব মাহবুব আহমেদ পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনার লক্ষ্যে আমদানিকারক, পাইকারী ব্যবসায়ী এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা জানান। সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ, টি , এ মর্তুজা রেজা চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (আমদানি) মনোজ কুমার রায়, অতিরিক্ত সচিব (ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক) অমিতাভ চক্রবর্তী, সিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সারওয়রর জাহান তালুকদার, প্রধান আমদানি ও রফতানি নিয়ন্ত্রক এম এ সবুর, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আবুল হোসেন মিয়া, বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক, কৃষি মন্ত্রণালয়, পরিসংখ্যান ব্যুরো, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিসহ পেঁয়াজ আমদানিকারক সমিতি, পেঁয়াজের পাইকারি ব্যবসায়ী সমিতি, শ্যামবাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং আমদানিকারকগণ উপস্থিত ছিলেন।
    সভায় দেশের চাহিদা মোতাবেক উৎপাদন বৃদ্ধি এবং সারাবছর পেঁয়াজ উৎপাদনের প্রযুক্তি উদ্ভাবনের বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে পরামর্শ প্রদান করে বলা হয়, মুরি কাটা পেঁয়াজ যাতে খাবারি পেঁয়াজ হিসেবে বাজারে বিক্রি না হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সভায় পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে শুধু ভারতের ওপর নির্ভরশীল না থেকে পাশাপাশি অন্যান্য দেশ থেকেও ব্যবসায়ীদের পেঁয়াজ আমদানির পরামর্শ দিয়ে বলা হয়, ব্যবসা বাণিজ্যের সুবিধার জন্য মায়ানমারের সাথে ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেন জটিলতা দূর করতে বাংলাদেশ মায়ানমার আগামী দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য উন্নয়ন সভায় আলোচনা করা হবে।
    সভায় বলা হয়, নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসতে আরো এক থেকে দেড় মাস সময় লাগবে। এ সময় বাজারে যাতে পেঁয়াজের সংকট না হয় বা অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি না হয় সে বিষয়ে পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার দেশে চাহিদা মোতাবেক পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সবধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের চাহিদার প্রায় অর্ধেক পেঁয়াজ বিদেশ থেকে আমদানী করা হয়। পেঁয়াজ একটি পঁচনশীল পণ্য। বিশেষ ব্যবস্থা ছাড়া এটি বেশিদিন মজুত রাখা যায় না। সংগত কারণে প্রয়োজনের সময় চাহিদা মোতাবেক পেঁয়াজ আমদানি করা হয়।
    পেঁয়াজ আমদানি এবং বাজারজাত করণের ক্ষেত্রে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা বা সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বেশি হবার কারনে পেঁয়াজের দাম বেশি। মায়ানমার, চীন ও পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। ভারত থেকে নতুন পেঁয়াজ বিভিন্ন স্থল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো পেঁয়াজ আমদানি কারকদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে।
    বন্দরসমুহে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসন পেঁয়াজ আমদানি কারকদের অগ্রাধীকার ভিত্তিতে সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে। পেঁয়াজ পরিবহণের ক্ষেত্রে কোনধরনের সমস্যা দেখা দিলে ব্যবসায়ীদের চাহিদা মোতাবেক সরকার নিরাপত্তা প্রদান করবে। পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য টিসিবি ট্রাক সেল কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। আমদানিকারকদের দেশের চাহিদা মোতাবেক পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রাখার পরামর্শ প্রদান হয়। পেঁয়াজ নিয়ে যাতে কোন ধরনের ষড়যন্ত্র না হয় বা কৃত্রিম উপায়ে সংকট সৃষ্টি করে মূল্য বৃদ্ধি করা না হয়, সেদিকে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে বলে জানায়।