পানি এলে ইলিশ যাবে মমতাকে শেখ হাসিনা

    0
    209

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২১ফেব্রুয়ারীভারতের সঙ্গে অমিমাংসিত স্থল সীমান্ত চুক্তি অনুসমর্থন ও তিস্তার পানি চুক্তির বিষয়ে ভূমিকা রাখবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা সফররত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।শনিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাতে এসে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন মমতা।

    মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা জানান প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী। দু’জনের দীর্ঘ সাক্ষাতে দুই বাংলার মধ্যকার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এসব আলোচনার মধ্যে অন্যতম ছিল তিস্তার পানিবণ্টন ও সীমান্ত চুক্তি।

    ইকবাল সোবহান চৌধুরী জানান, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আরও বেশি করে পদ্মার ইলিশ পেতে চায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এমন কথায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার উদ্দেশে বলেছেন, পানি এলে ইলিশ যাবে। সাক্ষাৎকালে মমতাকে নৌকা উপহার দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের যেন পর্যাপ্ত পানি থাকে, এ নৌকা যেন চলতে পারে। এ সময় তিস্তার পানিবণ্টনের ব্যাপারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবেন বলে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন মমতা।

    তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি। বাংলাদেশ আমারও দেশ। বাংলাদেশের স্বার্থকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখি। দু’দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করেই তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তির ব্যাপারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবো।

    সীমান্ত চুক্তি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে অন্যতম অমীমাংসিত বিষয় হলো সীমান্ত চুক্তি। আমাদের পক্ষ থেকে এ সমস্যার সমাধান করে দিয়েছি। আশা করি আগামী ২৩ তারিখ থেকে শুরু হতে যাওয়া লোকসভার অধিবেশনেই এর সমাধান হয়ে যাবে। বিলটি লোকসভায় উত্থাপিত আছে, এখন পাস হয়ে যাওয়ার অপেক্ষায়। তার এই আশ্বাস ও ভূমিকায় ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    ইকবাল সোবহান চৌধুরী জানান, অমর একুশে পালনের জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানানোয় তিনি প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, সেইসঙ্গে কলকাতা সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী এই নিমন্ত্রণ গ্রহণ করে বলেন, সুবিধা মতো সময়ে তিনি অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গ সফর করবেন।

    বৈঠকে, দুই নেতার মধ্যে ব্যবসায়িক আদান প্রদান, সাংস্কৃতিক যোগাযোগের ওপরও আলোচনা হয়। একটি যৌথ কমিটি করে দুই বাংলার মধ্যে সাংস্কৃতিক উৎসব করার প্রস্তাব করেন মমতা ব্যানার্জি। প্রধানমন্ত্রী এতে তার সায় দেন। দুই বাংলার মধ্যে সুসম্পর্ক অটুট রাখতে পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যতকিছু দরকার করবেন বলে আশ্বাস দেন মমতা ব্যানার্জি।

    উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরে তিস্তা চুক্তি সইয়ের কথা থাকলেও মমতার আপত্তিতে তা আটকে যায়। স্থল সীমান্ত চুক্তি কার্যকরেও বিরোধিতা ছিল তার। তবে চার বছর পর ভারতের রাজনীতির পালাবদলে কোনঠাসা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর সুর এখন এই দুই বিষয়ে অনেকটাই নরম। তিনদিনের সফরে বৃহস্পতিবার ঢাকা আসেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।ইরনা