পাওনার বিপরীতে জমি দিয়ে দায়শোধ করছে যুবক

    0
    363

    ২০১৫ সাল পর্যন্ত দায়শোধ হবে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৭অক্টোবরঃ জমি /প্লটের মাধ্যমে দায়শোধ করার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে যুবক। উত্তরণ কর্মসূচির আওতায় ২০১০-২০১৪ সালে   ২০৯১টি প্লট এবং সারাদেশে প্রায় ৫,৯০০টি প্লট রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। নতুনভাবে আরো ৭০০-র অধিক সংখ্যক প্লটের জন্য বুকিং জমা পড়েছে। জমাকৃত আবেদনসমূহের রেজিস্ট্রির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় সারাদেশে প্লটের রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে ৭,৫০০-র অধিক। দায়শোধ হয়েছে ৭৫০ কোটি টাকারও বেশি। উত্তরণ কার্যক্রমের ভালুকা, চান্দেরচর, ধামরাই এবং ঢাকার বাইরের কয়েকটি প্রকল্পে যেখানে যে অবস্থায় আছে সেই অবস্থায় প্লট বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবেদনকারীদের প্লট রেজিস্ট্রির পাশাপাশি প্লট সরেজমিনে বুঝিয়ে দেয়ার কাজও অব্যাহত রয়েছে। এই কার্যক্রমের আওতায় ২০১৫ সালের মধ্যে আরো ২০০ কোটি টাকার দায় শোধ হবে বলে যুবক আশা করছে। এ কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হলে ২০১৫ সালে দায় পরিশোধ হবে ১০০০ (এক হাজার) কোটি টাকার। স্যাটেলাই বুকিং ও ১০০% সমন্বয় বুকিং এই দুই প্রক্রিয়ায় প্লটের মাধ্যমে দায় সমন্বয়ের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। রেডি প্লট থেকে গ্রাহক নিজের পছন্দের প্লটটি বেছে নিতে পারবেন। স্বল্পতম সময়ের মধ্যে সাফ কবলা রেজিষ্ট্রি গ্রহণ এবং তখনি সরেজমীন দখল বুঝে নিয়ে দেয়াল ও সাইন বোর্ড স্থাপন করবেন। সদস্যদের আগ্রহের প্রেক্ষিতে এ কার্যক্রমকে আরো বেগবান করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে ।

    গত ৮ বছরের উত্তরণ প্রচেষ্ঠার আনুপাতিক তুলনায় ২০১৫ সালে অভাবনীয় সফলতায় নতুনভাবে আশাবাদ জাগিয়েছে সদস্য ও কর্মীদের মাঝে। সবচেয়ে বড় সাফল্য হচ্ছে- সদস্য ও নেটওয়ার্কের কর্মীরা বিভেদ-ব না ভুলে নিজেদের পাওনা ফিরে পাওয়া এবং কর্মীরা দায়মুক্ত হওয়ার স্বার্থে যুবকের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন। একসাথে কাজ করছেন। এতে আরো বলা হয়- ২০০৬ সালে সঙ্কটের শুরু থেকেই দায় পরিশোধে যুবক পরিবার দৃঢ় ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে সময় ও স্বভাবাবিকভাবে কাজ করার সুযোগ চেয়ে আসছে। প্রতিবছর নিয়মিতভাবে প্রকল্প ও এলাকাভিত্তিক প্লটপ্রাপ্ত সদস্যদের তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে। প্লট প্রাপ্তদের তালিকা যুবক কমিশন, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। এই তালিকা নিয়মিত যুবক মেম্বারস ডট কম ওয়েব সাইটে আপডেট করা হচ্ছে।

    যুববার্তার আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়- সিদ্ধান্তহীনতা আর অযতœ অবহেলায় ধ্বংসের মুখে যুবকের কয়েক’শ কোটি টাকা সম্পদ। যুবক পরিবারের উপর আরোপিত বিপদ ও সঙ্কটাবস্থার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে শত শত কোটি টাকার সম্পদ চলে গেছে বেদখলে। উল্লেখযোগ্য তালিকায় রয়েছে- আরটিভি’র ৫৭% মালিকানা, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটির ৮০% মালিকানা, টেলিবার্তা (যুবক ফোন), খুলনার বাড়ি, ভোলার জমি, তেজগাঁওয়ের বাড়ি, পল্টনের রহমত মঞ্জিলসহ অসংখ্য জমি অবৈধ দখলে। বার্ষিক লভ্যাংশের ক্ষতি যোগ করলে তা  হাজার কোটি টাকারও বেশি হবে। দায়শোধে প্রণোদনা ঋণ সম্পর্কে বলা হয়- যুবককে বাঁচাতে হাজার কোটি টাকার ঋণ চেয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ে। এর আগেও ২০১৩ সালের অক্টোবরে এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে প্রথমবার আবেদন করেছিল যুবক। এরপর আরও বেশ কয়েকবার আবেদন করে। কিন্তু তারা অর্থমন্ত্রীর কাছ থেকে কোনো সাড়া পায়নি। তবে এবার করা পুনঃআবেদনের বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।প্রেস বিজ্ঞপ্তি