পাঁচতারকা হোটেলে প্রধানমন্ত্রী ও খালেদা জিয়াকে ছাত্রের আমন্ত্রন!

    1
    488
    ” বাংলাদেশের একমাত্র পাঁচ তারকা  মানসম্পন্ন রিসোর্ট শ্রীমঙ্গলের “গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফে” তার  নিত্য ব্যাবহৃত বিলাসী সামগ্রী বিক্রি করে  দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেশের গনতন্ত্রের স্বার্থে  অাপ্যায়ন করার দাওয়াত দিয়েছেন”
    আমারসিলেট24ডটকম,১৯জানুয়ারীঃ সোমবার রাত ৯টার দিকে মারুফ আহমেদ নামের  এক ব্যাক্তি সামাজিক যোগাযোগের অতি পরিচিত মাধ্যম  ফেইসবুক আইডিতে  “রচিত হোক নবজাগরণ”  শিরোনামে  দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেশের গনতন্ত্রের স্বার্থে  এক টেবিলে দাওয়াত জানিয়েছেন। তার স্ট্যাটাসের হুবহু  তুলে ধরা হল।

    “কেমন হয়??? যদি বাংলাদেশের বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে একই সাথে একটি বার এক টেবিলে কমপক্ষে একবার একসাথে আপ্যায়ন করতে দেখতে পাই!!!
    কি অবাক হলেন? অসম্ভব? কোন অন্যায় আবদার? কিংবা পাগলামী?
    অথচ আমাদের প্রশ্ন হাওয়া উচিত ছিলঃ ‘কেন নয়?’ ‘এত দেরীতে কেন? ‘অবশ্যই সম্ভব’, কারন আপনারা দুজনই গনতন্ত্রের ধারক ও বাহক।
    যদিও কোন রাজনৈতিক সমঝোতার স্বার্থে নয়; কোন অগনতান্ত্রিক নেতার ন্যায় নয়, একদম সাধারণ দু’জন মানুষের ন্যায় গণতান্ত্রিক ভাবে একান্তে সময় কাটানোর আহবান জানাচ্ছি।
    আপনারাও মানুষ! আপনাদেরও আমাদের মত রাগ-অনুরাগ, ভালোলাগা, ভালবাসা অনুভূতি সবকিছুই বিরাজ করে।
    সে অধিকার গুলো কি আমরা কখনও পালন করতে দিয়েছি? কিন্তু সময় তো কারো জন্য অপেক্ষা করে না। আমরা সর্বদাই নিজেদের অধিকারের জন্য কতকথা বলি কিন্তু আমরা ১৬ কোটি মানুষ কখনও কি ভেবেছি আমাদের এই বর্তমান এবং সাবেক অবিভাবকদের নিয়ে? কখনও বলেছি “আপনাদের আজ ছুটি, যান কোথাও ঘুরে আসুন?”
    -না! আমরা কখনও বলি নি তাদের।
    এমনকি এ নিয়ে চিন্তাও করিনি কখনও। তাহলে কি আমরা তাদের এ অধিকারটুকু খর্ব করছি না? অন্যায়ভাবে তাদের স্বাভাবিক জীবন
    থেকে দূরে সরিয়ে রাখছি না? একজন সাধারণ চাকুরিজীবিও তো সপ্তাহের একদিন ছুটি কাটায়, পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে যায়। আর যারা আমাদের সমগ্র দেশবাসীর সেবা দিয়ে যাচ্ছেন
    দিনের পর দিন তাদের কি কোন ছুটির প্রয়োজন নেই? নেই বিশ্রাম নেয়ার অধিকারটুকু?

    -অবশ্যই আছে।

    আর এই ভাবনা থেকেই আমি চাই আপনারা একদিন বিশ্রাম নিন। শুনেছি একসময় আমাদের দেশের বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আপনাদের মধ্যে খুব ভালো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু কালের বিবর্তনে রাজনৈতিক রোষানলের গতানুগতিক ধারায় বন্দী আপনাদের মধ্যে সেই সম্পর্ক আমাদের চোখে পড়ে না। কিন্তু আমি অতিমাত্রায় আশাবাদী মানুষ। আমি বিশ্বাস করি সময় শুধু দূরত্বই সৃষ্টি করতে পারে, মনের গহিনে সুপ্ত ভালোবাসাকে গ্রাস করতে পারে না। আর এই বিশ্বাসটুকুই আমাকে সাহসের যোগান দিচ্ছে আমার দেশের এই দুই অভিবাবকদের ছুটি কাটানোর আমন্ত্রণ জানাতে।
    খুবই খুশি হতাম তাদের যদি আমি আমার স্ব-গৃহে আমান্ত্রণ জানাতে পারতাম। কিন্তু আমি জানি ইহা সম্ভব না। কিছুটা নিরাপত্তা জনিত কারণ এবং, সুযোগ সুবিধার অপ্রতুলতা। তাই আমি সম্মানিত নেত্রিদ্বয়কে রাখতে চাই বাংলাদেশের একমাত্র পাচ তারকা রিসোর্ট ‘গ্রান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফ’এ যা আমার প্রাণ প্রিয় শহর শ্রীমঙ্গল এ অবস্থিত। আমি জানি যে পাচ তারকা হোটেলে আপ্যায়িত করা ব্যায় সাপেক্ষ ব্যাপার কিন্তু আমি দেশের এবং দশের স্বার্থে এই ব্যায় বহন করতে রাজি। প্রয়োজনে আমার নিত্য ব্যাবহৃত বিলাসী সামগ্রী বিক্রি পূর্বক আমি এই ব্যায় বহন করবো,ইনশা আল্লাহ।

    আমি আপনাদের বিনীত আহবান জানাচ্ছি, আপনারা আসুন আমার এলাকায় (শ্রীমঙ্গল) সাধারণ মানুষদের কাছে না মিশতে পারলেও নিজেদের সংগে একান্তে কিছু সময় কাটান। আপনাদের সুখ-দুখ গুলো একে অপরের সাথে বিনিময় করেন অকৃত্রিম ভাবে।

    আমি বিশ্বাস করি একই ফ্রেমের ভিতর আবদ্ব আপনাদের হাসিমাখা মুখচ্ছবি ১৬কোটি বাঙ্গালীকে একত্রে থাকার আনুপ্রেরণা দিবে, নতুন জীবণী শক্তিতে বাচার স্বপ্ন দেখাবে। আর সেদিন আমরা সবাই আবার বাঙ্গালিরা স্ব-জাতিতে পরিণত হব। যে স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযোদ্ধের ফলে অর্জিত বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল,সেদিকে সবাই একত্রে এগিয়ে যাব, রচিত হবে নবজাগরন।” সূত্রঃ(https://www.facebook.com/events/345188839003979/?pnref=story)