পহেলা বৈশাখে নারীদের শ্লীলতাহানির ঘটনায় নিন্দার ঝড়

    0
    218

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৭এপ্রিলঃ পহেলা বৈশাখ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশ পথে নারীদের শ্লীলতাহানির ঘটনায় নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় বইছে সর্বত্র। পুলিশের উপস্থিতিতে হাজার হাজার মানুষের সামনে এ ঘটনায় সর্বত্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও। ন্যক্কারজনক এই ঘটনার দুই দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে না পারায় নিন্দার ঝড় বইছে সারা দেশে। প্রতিবাদে কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন সংগঠন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন অনেকে।

    এ ঘটনায় অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখী করা এবং দায়িত্ব অবহেলার জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন নারী নেত্রী ফরিদা আকতার। রেডিও তেহরানকে তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় এ ধরনের ঘটনায় সারাদেশ মর্মাহত। পুলিশের উপস্থিতিতে এ ঘটনায় ঘটায় তাদের মনে ধারণা যে তারা জানে কারা এসব অপকর্ম করছে। তাই উভয়ের বিরুদ্ধে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

    ঘটনার পর বুধবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা সিসি ক্যামেরাগুলোর ফুটেজ দেখে বখাটেদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। যে কোনোভাবে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

    এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া। পুলিশের উপস্থিতিতে এমন ঘটনায় বৈঠকে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে পুলিশের অবহেলার বিষয়, কাউকে আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে ও তদন্তে সহযোগিতার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মনিরুল ইসলামকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

    প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখে এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মানবাধিকার নেত্রী সিগমা হুদা। রেডিও তেহরানকে তিনি আরও বলেন, ঘটনা ঠেকাতে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি, অপরদিকে সাধারণ মানুষ যাদের আটক করেছে, তাদের তারা ছেড়ে দিয়েছে। এখন ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ দেখেও তাদের চিহ্নিত করতে পারছে না। এটা হতাশাজনক।

    টিএসসিতে নারীদের যৌন নির্যাতনের সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেছেন আওয়মী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তও। আজ (শুক্রবার) দুপুরে রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, নিপীড়নকারীদের হাতে ধরিয়ে দিল আর আপনারা ছেড়ে দিলেন। পুলিশ মিডিয়াতে বলল নির্দেশনা নেই। এ অজুহাত সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য ও ভিত্তিহীন। এ ঘটনা যারা ঘটিয়েছে সে যেই হোক, যারাই হোক তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

    এদিকে, বাংলা বর্ষবরণে দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এলাকায় কয়েকজন নারীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় কেনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

    বিচারপতি কাজী রেজা -উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন। রুলে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার ও রমনা বিভাগের উপকমিশনার, শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।ইরনা