পল্লী বিদ্যুতের ভেলকিবাজীতে অতিষ্ঠ নবীগঞ্জবাসীঃবিপাকে পরীক্ষার্থীরা

    1
    253

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৩এপ্রিল,মতিউর রহমান মুন্নাঃ পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের নামে ভেলকিবাজীতে অতিষ্ঠ নবীগঞ্জবাসী। এই আছে, এই নেই, বিদ্যুতের এমন খেলা শুধু একদিনের নয়, প্রতিদিনের। বিদ্যুৎ দিনে-রাতে কতবার আসে ও যায় তার হিসাব রাখা খুবই কঠিন। এতে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয় সংবাদকর্মী, ছাত্র-ছাত্রী, ব্যাবসায়ীসহ সাধারণ মানুষকে। স্কুল কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীদের লেখা পড়ায়ও মারাত্বক বিঘœ ঘটছে। প্রতিদিন ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে বিশেষ করে চরম বিপাকে পড়েছে চলতি এইচএসসি পরীক্ষার্থীরাও। বিদ্যুতের কারণে তারা টিম মত লেখাপড়া করতে পারছে না। প্রচন্ড গরমে যেখানে মানুষ রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে সেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা থাকে না বিদ্যুৎ। কোন কোন দিন সারা দিন-রাত ও থাকে না। বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক মত না থাকায় সংবাদকর্মীরা সঠিক ভাবে খবর পাঠাতে পারে না। শহরে লোডশেডিং কম সময় থাকলেও গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ ভুগান্তি চরমে।

    নবীগঞ্জে ঘন ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিং এবং শহর ও গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুতের চরম বিপর্যয়ের কারনে ফুসে উঠেছে নাগরিক সমাজ। তারা মানববন্ধনসহ কঠোর কর্মসুচীর মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। এ লক্ষে নাগরিক সমাজের আহ্বানে গত বৃহস্পতিবার এক মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়েছে।

    একদিকে অসহনীয় গরম, অপর দিকে বিদ্যুত না থাকায় সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। অনেক গ্রাহক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে লোডশেডিং হলে আমরা পূর্ব থেকে প্রস্তুত থাকতে পারি। এ অবস্থায় লোডশেডিং চলতে থাকলে বিদ্যুত সংযোগ না থাকাই ভালো। লোডশেডিং চরম আকার ধারণ করার ফলে ব্যবসায়ীদেরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ ব্যাহত হচ্ছে। যার ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে প্রতি মাসে। সামান্য বৃষ্টি ও বাতাসের আভাস পেতে না পেতেই পড়তে হয় বাড়তি যন্ত্রণায়।

    অফিসে ফোন করলেই প্রতিদিনই থাকছে কোন না কোন সমস্যা বা অজুহাত।

    নবীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী জাবেদ চৌধুরী জানায়, “ প্রচন্ড গরমে লেখাপড়া করা যায় না। এ জন্যই আমরা তাকিয়ে থাকি বিদ্যুতের দিকে। কিন্তু বিদ্যুত থাকে না বললেই চলে। এই আসে আবার চলে যায়। যে সময়টুকু আমরা পড়ালেখা করব যে সময়ই বিদ্যুৎ থাকে না। আর এই ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে আমাদের লেখাপড়ার খুব ক্ষতি হচ্ছে।’’

    নবীগঞ্জের জে.কে হাই স্কুল রোডের ব্যাবসায়ী আহছানুজ্জামান মান্না জানায়, “প্রচন্ড গরমে মানুষ টিকতে পারে না সেখানে অতিরিক্ত লোডশেডিং যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে আমাদের ব্যাবসা বাণিজ্য মন্দা।”