নড়াইলে ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা !

    0
    463

    গ্রাম্য শালিসে অভিযুক্তকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৫জুলাই,নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইলে ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে স্কুলের মধ্যে  শ্লীলতাহানীর চেষ্টার ঘটনায় গ্রাম্য শালিসে অভিযুক্ত ওই স্কুলের পিওনকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার সকালে সদরের পাইকমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ক্লাস কক্ষে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে স্কুলের পিওন সাদিয়ার মোল্যা।

    বিষয়টি জানাজানি হবার পর ঘটনার দিন রাতে এক গ্রাম্য শালিসে অভিযুক্তকে অর্থ জরিমানা করা হয় এবং মেয়ের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে।

    এছাড়া অভিযুক্ত পিওন ৫ম শ্রেণির কক্ষ খোলা ছাড়া ওই ক্লাসে কোনো কারনেও প্রবেশ করতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়।

    জানা গেছে, সোমবার সকালে  ওই ছাত্রী প্রবল বৃষ্টির মধ্যে স্কুলে যায়। বৃষ্টির কারনে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল নগন্য এবং ঐ সময় শিক্ষকরা গিয়েও পৌছায়নি স্কুলে। স্কুলের পিওন চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের মহিষখোলা গ্রামের ইসহাক মোল্যার পূত্র সাদিয়ার মোল্যা ৯টার দিকে তাকে ক্লাস কক্ষে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে।

    এ সময় সে  চিৎকার করলে পিওন দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হবার পর স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি কাওসার উদ্দিন মোল্যার বাড়িতে রাত ৯টার দিকে এক গ্রাম্য শালিসে ১৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ এসব সিদ্ধান্ত হয়।

    এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সভা আহবানকারী চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বর আকিজ উদ্দিন মোল্যা, মাতব্বর আবুল কালাম ,বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ সরদার, পাইকমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমেশ কুন্ডু, ফেদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজুর রহমান প্রমুখ।

    এ ব্যাপারে সভা আহবানকারী মেম্বর আকিজ উদ্দিন মোল্যা জানান, আমরা জানতাম ছেলেটি ভদ্র। কিন্তু কিভাবে এটা হলো বুঝতে পারলাম না। গরীবের পেটে লাথি মেরে কিহবে সেজন্য জরিমানার মাধ্যমে বিষয়টির মিমাংসা হয়েছে বলে জানান।

    ভূক্তভোগির মা বলেন, ওই পিওন মেয়ের শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করেছে। এ ঘটনার বিচারে আমি সন্তুষ্ট নই। জরিমানার ১৫ হাজার টাকা দিয়ে কি করবেন এ প্রশ্ন করলে বলেন, শালিসদাররা টাকা কি করবে তা আমি জানিনা।

    স্কুলের প্রধান শিক্ষক রমেশ কুন্ডু জানান, আমি ঘটনার দিন ছুটিতে ছিলাম। মেয়েটির সাথে হয়ত কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। শালিসে বিষয়টির মিমাংসা এবং জরিমানা হয়েছে বলে জানান।

    সদর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ ধরনের ঘটনার কথা জানা নেই। কেউ অভিযোগও করেনি। তবে বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেওয়া হবে বলে জানান।