নড়াইলে ইউপি চেয়ারম্যানকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা

    0
    237

    নড়াইল প্রতিনিধিঃ  নড়াইলের লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা বদর খন্দকারকে(৪২) নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।

    সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই ইউনিয়নের টি চর কালনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের  সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।¬

    চেয়ারম্যানের দুই পা ও ডান হাত শরীর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এছাড়া বাম হাতের তিনটি আঙ্গুল কেটে  পড়ে যায়।  মুর্মূর্ষ অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

    পুলিশ, স্থানীয়রা ও বদর খন্দকারের আত্মীয় আব্দুল আলীম জানান, সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কালনা ঘাট এলাকায় অবস্থিত তাঁর ইটভাটা থেকে মোটর সাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে ৯৫নং টি চর-কালনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের  সামনে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা একদল সন্ত্রাসী  তাঁর মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে। এসময় তাদের হাতে থাকা রাম দা, ছ্যান দাসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে বেপরোয়াভাবে কুপিয়ে  সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।  চেয়ারম্যানের তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ও পথচারীরা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বদর খন্দকারের ডান হাতের কবজি ও দু’পা শরীর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এছাড়া ধারালো অস্ত্রের কোপে বাম হাতের তিনটি আঙ্গুল কেটে পড়ে যায়। মারাত্মক আহত অবস্থায় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

    পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান  উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল শিকদারের সাথে বদর খন্দকারের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্ধ-সংঘাত চলে আসছিল। এর জের ধরে তার ওপর এ হামলা হয়েছে বলে তাদের দাবী।

    লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কালনা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া নড়াইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) টহল জোরদার করেছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের জোর চেষ্টা চলছে।

    বদর খন্দকার লোহাগড়া উপজেলার লোহাগড়ার কালনা গ্রামের ময়ের খন্দকারের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক নির্বাহী সদস্য ছিলেন। এছাড়া বিগত মেয়াদে তিনি লোহাগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন।